স্টাফ রিপোর্টার :
দশ লাখ টাকার বিনময়ে এসিড মামলারর প্রধান আসামী বরিশাইল্লা টিপুকে বাঁচাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে সোর্স মনির।
প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ করছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যো প্রধান আাসামী বরশাইল্লা টিপুর সাথে সাইনবোর্ড এলাকার ওয়ান রেস্টুরেন্টে সোর্স মনির একাধিকবার গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটির দাবী, চুক্তির দশ লাখ টাকার মধ্যে সোর্স মনির ইতিমধ্যেই বরিশাইল্লা টিপুর নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে তিন লাখ টাকা । এদিকে, এমন খবরে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত এসিড দ্বগ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মুন্নার পরিবার।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ফতুল্লার ইদ্রাকপুর এলাকায় সৈয়দ মাহামুদ মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বরিশ্যাইলা টিপু, রেডিও চোরা আইয়ুব সহ সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও এসিড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু মুন্না বেঁচে গেলেও তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায় ।
মুন্নার ছোট ভাই শাওন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় বরিশ্যাইলা টিপু, সাইফুল, ডাকাত রেহান, ফেন্সি রাজিব, সাগর, কাইয়ুমসহ অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ দুই নাম্বার আসামীকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকী আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছে।
ঘটনার শুরু থেকেই অর্থের বিনিমময়ে বরিশাইল্যা টিপুকে বাঁচাতে সোর্স মনির নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে । নানা কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন পূর্বে সাইনবোর্ড সংলগ্ন দ্য ওয়ান রেস্টুরেন্টে সোর্স মনির ও তার ভাই মিজান এবং এসিড মামলার পলাতক আসামী বরিশ্যাইল্যা টিপু গোপন বৈঠকে মিলিত হয়।
বৈঠকে মামলার প্রধান আসামীর সাথে বরিশাইল্যা টিপুর নাম বাদ দেয়া হবে দশ লাখ টাকার একটি মৌখিক চুক্তি হয় বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় । সূত্রটি আরো জানায়, ইতোমধ্যেই সোর্স মনির টিপুর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছে ।
উল্লেখ্য, স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার ধুমকি থানার মৃত ফজলুর রহমানের পুত্র মনির নিজেকে র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। মনির ওরুফে সোর্স মনির বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে ফতুল্লায় আসে । এরপর থেকে তিনি নিজেতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কাছের লোক পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরসহ স্থানীয় মহলে প্রভাব বিস্তার করেন।
১/১১ সময়ে সোর্স মনির ক্রসফায়ারে নিহত রকমতের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফয়েজের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হয়ে এসে বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোলপাল্টে নিজেকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমীর হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আবার এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নানা অপ তৎপরতায় লিপ্ত হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ ।
সোর্স মনিরের কোমড়ে প্রায় সময়ই একটি পিস্তল দেখা যায় এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
অস্ত্রের ব্যপারে স্থানীয়রা জানতে চাইলে সোর্স মনির জানান, চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী তাকে এই অস্ত্রের লাইসেন্স করে দিয়েছিলেন। কারো কাছে ভিন্ন কথাও বলে থাকেন। কোমড়ে পিস্তল রেখে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে তিনি নিজেকে প্রশাসনের লোক বলেও দাবি করে থাকেন বলেও অভিযোগ স্থানীয় মহলের। গত ২ মাস আগে একজন সাংবাদিক ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় কোমরে পিস্তাল ঝুলানো অবস্থায় সোর্স মনিরের ছবি তুলতে গেলে মনির দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোমরে আর পিস্তল দেখেনি স্থানীয়রা।









Discussion about this post