জন্ম হোক যথাতথা, কর্ম হোক ভালো । এমন প্রবাদের উল্টো চিত্র দেখা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা মটর সাইকেল গ্যারেজ ও মটর সাইকেল পার্টস দোকান মালিক সমিতির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে । পরিশ্রমী ও কঠোরভাবে খেটে যাওয়া শ্রমজীবীদের এমন একটি সংগঠনের শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হয়েছে একজন চোরাকারবারী ।
যার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য প্রমাণ। যার জন্ম কোথায় তা নারায়ণগঞ্জের অনেকের অজানা নয় । তাই জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো । এমন সংগঠনের সভাপতি হলেন রাতুল মটরস এর মালিক ফারুক । যার জন্ম নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কর্ম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে ।
ভারত থেকে চোরাই পথে মটর সাইকেল দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আনার পর বিআরটিএ এর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই ফারুক । যার বিরুদ্ধে এমন চোরাই (টানা) মটর সাইকেল বিক্রির অভিযোগও রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে । নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ও বিশেষ পেশার কারো কারো সাথে সখ্যতা রেখে বছরের পর বছর অভিযোগ থাকলেও কেউ ফারুকের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারে নাই । এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সংগঠনের অনেকের মাঝে
(এমন বক্তব্য নারায়ণগঞ্জের একজন মটর সাইকেল গ্যারেজ মালিকের । যার বক্তব্য রেকর্ডে রাখা হয়েছে )
নারায়ণগঞ্জ জেলা মটর সাইকেল গ্যারেজ ও মটর সাইকেল পার্টস দোকান মালিক সমিতির কমিটি গঠন হয়েছে গত তিন মাস পূর্বে।
নব-গঠিত কার্যকরি কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২ অক্টোবর) সন্ধায় জমতলাস্থ একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে নব কমিটির সভাপতি মাসদাইরের রাতুল মটরস্ এর সত্বাধিকারী শেখ মোঃ ফারুক এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চাষাড়ার রতন মটর সাইকেল গ্যারেজের সত্বাধিকারী মোঃ রতন খানের পরিচালনায় এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন নব গঠিত এই সমিতির ৩ জন উপদেষ্টা মোঃ ইব্রাহীম ওস্তাদ, মোঃ সামাদ ও আবু জাফর মোঃ আসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন নব কমিটির সহ সভাপতি শ্রী বিমল চন্দ্র দাস, সহ সধারণ সম্পাদক শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোহন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, কোষাধক্ষ্য মোঃ খোকন শেখ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ বাবু, প্রচার সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ৫ জন কার্যকরি সদস্য মোঃ জামাল হোসেন, শুভ, মোঃ সানি, তনয় ও আলীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মটর গ্যারেজ ও মটর সাইকেল পার্টস দোকান মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে মটর সাইকেল গ্যারেজের এক মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার একমাত্র ফারুক ছাড়া আর কে আছেন রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ? তাই এই সংগঠনটির সুণাম রক্ষার্থে র্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা সঠিক তদন্ত করে এই চোরাই মটর সাইকেল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবী জানিয়েছেন ।
এমন গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে রাতুল মটরস এর কর্ণধার শেখ মোঃ ফারুক নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, চক্রান্তকারীরা অনেক কিছুই বলে। আমার বিরুদ্ধে উঠা এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট ।









Discussion about this post