নারায়ণগঞ্জ বন্দরে চাঞ্চল্যকর আলোচিত কলেজ ছাত্র মিহাদ ও স্কুল ছাত্র জিসান হত্যা মামলার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১২মার্চ সকাল ১০টায় বন্দর বাজার এলাকায় এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, মামলার এজাহারভূক্ত প্রকৃত আসামী শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম ও আহমদ আলী, মুক্তার হোসেন, শিপলু, আনোয়ার হোসেনসহ শতাধিক লোক জড়ো করে নাটকীয়ভাবে মানববন্ধন করে। অথচ দেখা গেছে ব্যানার নিয়ে যারা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী দিয়েছেন প্রধান আসামী আলভী, অপর আসামী দেলোয়ার হোসেন বাবু, আবু মুছা এবং প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী লিটন ও প্রিন্স।
পুলিশের তদন্তে যাদের নাম বেরিয়ে এসেছে তারা হচ্ছে বড় শামীম, ছোট শামীম, হান্নান, নাহিদ, রনি, টিএন্ডটি বাবু, সাজ্জাদ, রবিন, শাকিল, রয়েল, নজরুল ইসলাম নজু, রাজন, শাওন, সজিব, জাহান, লিজন, ছোট বাবু। হত্যা মামলার আসামী শামীম ও মুক্তারের নেতৃত্বে এ নাটকীয় মানববন্ধনে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর জুড়েই এই মানববন্ধন নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
বন্দরে মিহাদ ও জিসান হত্যা মামলার আসামী শামীম, রনি, কাউছার, ছোট শামীমসহ এজাহারভুক্ত আসামীরা প্রকাশ্যে মানববন্ধন করছে। অথচ এরাই মামলার আসামী।

বাদীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্কুল ছাত্র মিহাদ ও জিসান হত্যা মামলায় বাদী জিসানের বাবা কাজিম আহমেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এজাহারভুক্ত আসামী ও তাদের স্বজনেরা।
১২ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১টায় বন্দর প্রেসক্লাবের ওই মানববন্ধন হয়। এতে কাজিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামালাকে পুঁজি করে সাধারণ নিরীহ মানুষকে পুলিশি হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া অভিযোগ তোলা হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বলেন, ২০২০ সালের ১০ আগস্ট বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলায় কাজিম আহম্মেদের ছেলে জিসান (১৫) ও স্থানীয় নাজিমউদ্দিন খানের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম মিহাদ (১৮) নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কাজিম আহম্মেদ নিহত ছেলে জিসানের হত্যার অভিযোগ এনে ৬ জনকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকায় সাধারণ নিরীহ মানুষকে বাদ দিয়ে তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। এ মামলা থেকে শুক্তভোগীরা মুক্ত হলেও কাজিম আহম্মেদ অর্থ আদায়ের জন্য বিভিন্ন ভাবে পুলিশি হয়রানি করে আসছে বলে অতিষ্ঠ ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ফুঁসে উঠে বন্দরবাসী।
নিহত মিহাদ চাচা যুবলীগ নেতা শাহ নেওয়াজ রাহাত বলেন, হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তবে সাধারণ মানুষজনকে হয়রানী করতে দেয়া হবে না। মামলার বাদি কাজিম আহম্মেদ তার নিজের স্বার্থ আদায়ের জন্য সাধারণ মানুষকে হয়রানী করছে। আমরা চাই সাধারণ নিরীহ মানুষদেরকে হয়রানী না করে প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানাচ্ছি। কাজিম প্রকৃতপক্ষে একজন প্রতারক ও মামলাবাজ। সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা তার মূল পেশা।









Discussion about this post