তরকারি ব্যবসায়ী থেকে অবৈধ উপায়ে কোটিপতি হওয়ার অভিযোাগে দুদকের অনুসন্ধানের আবেদন জানিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের এক পাথর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) জনৈক মনির হোসেন দুদকে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
দুদকের গ্রহণ করা অভিযোগ পত্রটি মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাংবাদিকদের হস্তগত হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কালুহাজী রোড এলাকার হাজী চাঁন মিয়ার ছেলে আলেক মিয়া এক সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ির জুরাইন ও শ্যামপুর এলাকায় ভ্যানগাড়ি ও ফুটপাতে তরকারীর ব্যবসা করতেন। বর্তমানে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কালু হাজী রোড এলাকায় ৪ কোটি মূল্যমানের ৬ শতাংশ জমির উপর একটি ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেন। একই এলাকায় ১২ শতাংশ জমির উপর একটি জুতার কারখানা ও একই এলাকায় ৩ কাঠা জমি ক্রয় করে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে। সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়িতে আড়াই কোটি টাকার মূল্যের ৬০ শতাংশ জমিও ক্রয় করেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কেতালেরবাগ ক্লাব রোড ও কুতুবআইল এলাকার আবির গার্মেন্টস এলাকায় ৩৩ শতাংশ জমির উপরে ৩টি চারতলা ভবন নির্মাণ করেন তিনি।
তাছাড়া লালখারাবাদ এলাকায় ২৫ শতাংশ জমির উপর টিনসেট ২টি বাড়ী নির্মাণ করেন। ফতুল্লার ভূইগড় স্ট্যান্ডে ঐশী কার হাট স্টান্ডে সুদে লাগানো রয়েছে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। মিজমিজি কালু হাজী রোড এলাকায় বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে সুদের টাকা ঋণ দিয়েছেন ১ কোটি টাকা। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড সিদ্ধিরগঞ্জ শাখায় ও বিভিন্ন ব্যাংকে কমপক্ষে প্রায় ৪০ কোটি টাকা লেনদেন রয়েছে।
২০১১-২০১২ ইং সালে ৪৮ লাখ টাকা একটি পাজারো গাড়ি কিনেন তিনি। উক্ত গাড়ীর ১৪ লক্ষ টাকার মত ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয় ঐ অভিযোগপত্রে।
এছাড়া তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানাধীন ৩ নং সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পূর্ব পুটিয়ারপাড় এলাকায় প্রায় ৫’শ শতাংশ বাগান বাড়ীদহ কৃষি জমি রয়েছে। ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে তার কয়েক কোটি টাকার খালি জায়গা রয়েছে। সিলেট জেলায় তার একটি পাথর ভাঙ্গার মিল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৪টি পজারো গাড়ি। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবাইল এলাকার তার ৩টি ভবনে ১৬০টি ফ্লাটে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ চুরি করার অভিযোগও করা হয়েছে ঐ চিঠিতে। ফতুল্লার লালখারাবাদ এলাকায় টিনসেট বাড়ীর ৩০টি রুমে চোরাইভাবে অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ চুরি করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে ঐ পত্রে। এ ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জের কালুহাজী রোড এলাকায় তার ব্যক্তিগত অফিসে মদ, জুয়ার আসর এবং ইয়াবার ব্যবসারও অভিযোগ করা হয়েছে। তরকারী বিক্রেতা থেকে ১৫/১৬ বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ায় অনুসন্ধান করার জন্য দুদুকের কাছে আবেদন করো হয় ঐ পত্রে।
এদিকে দুদুকে দায়ের করা অভিযোগপত্রের তথ্য সম্পর্কে আলেক জানায়, তিনি সৌদি আরবে ১০ বছর ব্যবসা করেছেন । বর্তমানে পাথরের ব্যবসা করছেন। ঐ ব্যবসায়ের টাকায় তার সকল সম্পদ বলে তিনি দাবি করেন।








Discussion about this post