আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধিনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। দলের এই সিদ্ধান্তের বাইরে আমি যাবো না। নেতাকর্মীদেরও না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এমন কথা জানিয়েছেন।
এসময় তিনি দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকেও দলীয় এই সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রসঙ্গে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমরাও যাবো না। একই সময় তিনি জানিয়েছেন, তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবো, সেটি কোথাওয়া বলিনি।
শনিবার ২৫ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তৈমূর আলম খন্দকারকে। তার পরবর্তীতে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে।
রোববার ২৬ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর স্বাক্ষরিত এই আদেশ মনিরুল ইসলাম রবির হাতে তুলে দেন রিজভী।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির অবস্থান কী হবে, তা কী সিদ্ধান্ত নিবে, এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিলো সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির কাছে। তিনি বলেন, এক বাটিতে মাংস রয়েছে। কিন্তু এই মাংসটা হারাম। এ জন্য আমি ওই বাটি থেকে মাংসটা তুলে রেখে ঝোল খাবো, সেটিতো হতে পারে না। সুতরাং নির্বাচন প্রসঙ্গে দলের যে সিদ্ধান্ত আমরাও একই সিদ্ধান্ত। ফলে নেতাকর্মীদেরকেও অনুরোধ করবো, দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার জন্য।
তৈমূর আলম খন্দকারকে জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর সাবেক আহবায়কের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। তবে, এটা নির্বাচন প্রসঙ্গে দেখা করা নয়। এছাড়া তার নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবো, এমন কথা কোথাও বলিনি। এবং এটা হবারও নয়। কেননা, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে একচুলও যাবো না। দলের সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। অন্যদেরও পালন করার অনুরোধ করবো।
‘দলের আহবায়কের দায়িত্বের পাশাপাশি তৈমূর আলম খন্দকারের নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবো’, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মনিরুল ইসলাম রবির বরাত দিয়ে যে দাবি করা হয়েছে, তা সত্য নন বলেও তিনি দাবি করেন। রবি বলেন, এমন কোনো কথা আমি বলিনি।
প্রসঙ্গত, গত দেড় বছর ধরে দলীয় সিদ্ধান্ত, এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না। দলটি এই সিদ্ধান্তে এখনও আছে। এ কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা কোনো প্রার্থী দেয়নি। তবে, তৈমূর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি সর্বস্তরেই বলতে থাকেন, বিএনপি নির্বাচনে আছে। এই নির্বাচন বিএনপির একটি কৌশল বলেও তিনি প্রচার করতে থাকেন। এতে করে দলের চলমান আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিষয়টি দলের হাই কমান্ড শুরু থেকেই পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তার এমন সিদ্ধান্তে হাই কমান্ড চরম ক্ষুব্ধও হয়েছেন। আর এই কারণে ২৫ ডিসেম্বর তৈমূরকে জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে মনিরুল ইসলাম রবিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।









Discussion about this post