এতোদিন পলাতক থেকে হঠাৎ করে ত্বকী হত্যায় স্বীকারোক্তি দেয়া সেই ভ্রমর কেন এই সময়ে ফিরে আসলেন ? কি হতে পারে ত্বকী হত্যা মামলার ভবিষ্যত ? এমন অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মেধাবী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় মোস্ট ওয়ান্টেড সুলতান শওকত ভ্রমর হতে যাচ্ছেন মামলার অন্যতম ট্রাম্পকার্ড।
এ মামলায় যাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযোগ তোলা হচ্ছে তারা মূলত ভ্রমরেক এবার ট্রাম্পকার্ড বানানোর চেষ্টা করতে যাচ্ছেন।
আর পুরো পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ভ্রমরকে কৌশল হিসেবে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে। অচিরেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে ভ্রমরের জামিন প্রার্থনা করা হবে। আর জামিন পেলেই সে আসবেন সংবাদ সম্মেলনে। তাকে জোর করিয়ে আদালতে জবানবন্দী দেওয়ানো হয়েছিল সেই নাটকের সবকিছুই চূড়ান্ত হতে চলেছে।
এদিকে ৭ বছর ভ্রমর কোথায় ছিলেন, কার আশ্রয়ে ছিলেন সেটা নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কারণ ২০১৪ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গুঞ্জন রয়েছে প্রথমে তিনি চলে যান মালয়েশিয়াতে। পরে এসে আশ্রয় নেন ভারতে। ভারত থেকে প্রায়শই বাংলাদেশে এসে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতেন। কখনো ঢু মারতেন মালয়েশিয়াতেও। তার বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাও ছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৭ বছরে দেশে যাতায়াত ও ওয়ারেন্ট থাকার পরেও কিভাবে অধরা ছিলেন ভ্রমর।
সুলতান শওকত ভ্রমর ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছিল, ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন আজমেরী ওসমান। তবে ১৬ দিন পর অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর ভ্রমর তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই নারায়ণগঞ্জ ও পরে দেশ ত্যাগ করেন ভ্রমর। আদালত ইতোমধ্যে ভ্রমরের বিরুদ্ধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে। ১০ মার্চ দুপুরে তিনি নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওছার আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠায়।









Discussion about this post