নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণার পর করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগাীদের চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থায় সম্পন্ন আইসিইউ সুবিধাসহ আইসোলেটেড হাসপাতালে।
প্রায় ৫০টি বিশেষায়িত শয্যার ব্যবস্থা থাকবে হাসপাতালটিতে।
এ তথ্য জানান হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ও উপ পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. গৌতম রায়।
গৌতম রায় জানান, ঢাকা থেকে একটি বিশেষ টিম হাসপাতালে এসে পুরো পরিকল্পনা করে দিয়ে গেছে। সে অনুযায়ী অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুতই কাজ করা হচ্ছে। এখানে ১০টি আইসিইউ’র সঙ্গে ভেন্টিলেশন সম্পন্ন শয্যা এবং ৪০টি আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, হাসপাতালটি প্রস্তুত করতে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও আশেপাশের সকল কিছু জীবাণুমুক্ত রাখতেই বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে এই হাসপাতালের একজন মেডিসিনের ডাক্তার করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে চলে গেছেন। তার সংস্পর্শে থাকা আরও হাসপাতালের ১০ কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। নতুন করে এ টিমগুলোকেও সমন্বয় করে কাজ করাতে হচ্ছে।
এদিকে রবিবার (১২এপ্রিল) সকালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ঢাকা জোন মোসলেউদ্দিন আইসোলেটেড হাসপাতালের নির্মাণ কাজের পরিদর্শন ও অগ্রগতি দেখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রকৌশলী (ইএম )গণপূর্ত আলমগীর হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ইএম ) গণপূর্ত ঢাকা ৯ যোবায়ের আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন।
জাকির হোসেন জানান, যত দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেওয়া যায়, সে দিকে আমরা লক্ষ রাখছি । আশা রাখি অল্প দিনের মধ্যে খানপুরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় আমরা প্রস্তুত করতে পারবো এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিবো ।
জাকির হোসেন আর জানান গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো:আশরাফুল আলম (স্যার ) সার্বখনিক এবিষয়ে খোজ খবর রাখছেন ।









Discussion about this post