নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে পুলিশের এক কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, আমার কোন দোষ নাই । আমি কর্তার ইচ্ছতেই কীর্তন করেছি । গাজীপুর থেকে তিনিই (এসপি হারুন) আমাকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে এসেছেন । লুটপাটের বিশাল ফিরিস্তি দেখানোর পর ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমি বদলী হয়ে চলে যাবো নারায়ণগঞ্জ থেকে তবুও প্লিজ আমার ক্ষতি টা কইরেন না !
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
ব্যাপকভাবে আলোচিত সমালোচিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর যোগদানের সময় নানা নাটকীয়তার পর তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে দলীয় তকমা দিয়ে বদলী করিয়ে নিজে যোগদানের পর শুরু করে একের পর এক অভিযান । নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদান করেই সন্ত্রাসী, চাদাবাজি, মাদক ব্যবসায়ী, ফুটপাত উচ্ছেদ, প্রভাবশালী জুয়ারী চক্রের আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া, ভুমিদস্যুসহ সকল ধরণের অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আলোচনায় আসেন এসপি হারুন।
এমন অভিযানসহ জেলার প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট স্বজন এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাড়াসী অভিযান চালিয়ে আরো আলোচনায় আসেন পুলিশ সুপার । পুলিশ সুপারের এমন আচরণের কারণে আকার ঈঙ্গিতে শামীম ওসমান নানাভাবে হুংকার তুলে কয়েকবার বিশাল সমাবেশ করলেও হারুন অর রশিদ ছিলো অনঢ় অবস্থানে । শেষ পর্যন্ত শামীম ওসমান নিজেই পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের দপ্তরে ধর্ণা দেন বলেও চাউর রয়েছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে ।
নানা কারণে গত ১১ মাসে আলোচনা সমালোচনার পুলিশের অনেক ভালো কাজের পাশাপাশি অনেক কর্মকর্তাদের নানা অপকর্ম এখনো রয়েছে জেলাবাসীর সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে । নারায়ণগঞ্জ বাসী ছাড়াও জেরায় র্মরত পুলিশের অনেক সদস্যএরই মধ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ।
সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে নিানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুলেলেও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেঅপরাদের বিশাল ফিরিস্তি তুলে দিয়েছেন ।
সমালোচনা করে অনেক পুলিশ সদস্য (যারা গত ১১ মাসের এসপি হারুনের শাসনামলে নানাভাবে নির্যাতিত তাদের অনেকেই) নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, পুলিশ সুপার হারুনের দোহাই দিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা পেশাদারিত্বমূলক আচরণ না করে নিজেদের আখের গোছেতে ব্যাস্ত থেকেছেন । যেন এই সময়ই লুটপাটের মোক্ষম সময় । এসপি হারুনের বিদায়কালে জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় এএসপি খোরশেদ শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করেছেন তারা নিজ দপ্তর ছাড়াও সাংবাদিকরা যাতে কোন অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ না করে সে লক্ষেই হুমকি দিয়ে সতর্ক করেছেন। এমন আচরণে কিভাবে প্রমাণ করবেন পেশাদারিত্বমূলক আচরণ করেছেন তারা ?
যারা এসপি হারুন নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর নারায়ণগঞ্জে যোগদান করেছেন তাদের ফিরিস্তি প্রকাশ করলেই বেড়িয়ে আসবে তারা প্রজাতন্ত্রের চাকুরী করেন না ! তারা এই পবিত্র চাকুরীকে ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যে সকল পুলিশ সদস্যরা পবিত্র চাকুরীতে ব্যবসায়ে পরিণত করেছেন তাদের সকলেই রয়েছে আতংকে । বিশেষ করে যে সকল পুলিশের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জুয়া খেলার মতো নিলামের মতো ডাক তুলে নগদ ঠাকা (ঘুষ ) পরিশোধ করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দপ্তরে যোগ দিয়েছেন এবং পুরানোদের তাড়িয়েছেন তাদের সকলেই রয়েছেন মহা আতংকে ।
পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয়ায় মহা আতংকে আছেন দেশের মানুষ । তার চাইতেও অধিক আতংকে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জে চাকুরীরত এসপি হারুনের অনুসারীরা । জেলা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েকজন দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে আসছে নানা অপকর্ম, জেলার সকল থানায় রয়েছেন এসপি হারুনের অনুসারীরা ,পুলিশ লাইনের রয়েছেন অনেকেই । এসপি হারুনের সাথে থেকে যাদের অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে নানা অপরাধ করেছেন তারাই বদলী আতংকসহ বিভাগীয় তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হতে নানাভাবে চালাচ্ছেন দৌড়ঝাপ । কেউ কেউ বদলী হতেও জোড় তদ্বির চালাচ্ছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে ।
নিলামের ভিত্তিতে পদায়ন হয়ে অনেকেই নারায়ণগঞ্জে যোগদান করতে যেমন লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন ঠিক তেমনি নারায়ণগঞ্জে পোষ্টিং নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকেই লাখ রাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন । যাদের সকলেই রয়েছেন ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর চাইতেও অধিক আতংকে ।
(পুলিশ কর্মকর্তার কান্নাকাটির রেকর্ড রয়েছে সংরক্ষনে)









Discussion about this post