হাইকোর্ট বলেছে, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেক মানুষ মারা গেল। এর দায় কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করে। আদালতের মন্তব্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন ।
এর আগে রিটের শুনানিতে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ফায়ার সার্ভিস বলেছে গ্যাসের লিকেজ থেকে এ দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় তিতাস কর্তৃপক্ষ আট জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। গ্যাস লিকেজের বিষয়টি মেরামতের জন্য তিতাসকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। যা পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু কার অবহেলায় এই দুর্ঘটনা সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।
ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর-উস সাদিক বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাটি এখনো তদন্তাধীন। এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, কারা এ ঘটনার জন্য দায়ী। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই দায়ী কে সেটা বেরিয়ে আসবে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেয়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিমতল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিত্সার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যায় ২৬ জন। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারপ্রতি ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার।









Discussion about this post