স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঘরমুখী মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে গেছে, দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট।
আজ বুধবার ভোর থেকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ ভ্যান, ট্রাকসহ বিভিন্ন মালবাহী গাড়ির চাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। এতে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ঘরমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানজটে আটকে অতিষ্ঠ হয়ে কেউ কেউ হেঁটে রওনা হয়েছেন।
মালবাহী ট্রাকের চালক আবদুল আউয়াল বলেন, ঈদ সামনে রেখে মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাসের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মদনপুর থেকে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পৌঁছাতে তাঁর প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগেছে।
মাইক্রোবাসে পরিবারসহ কুমিল্লার দেবীদ্বার যাচ্ছেন শাহ আলম। সকাল নয়টার দিকে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডে যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় শাহ আলম বললেন, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও ছয় মাসের মেয়ে আনিকাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা হন ভোর পাঁচটায়। ঢাকা থেকে গাড়িতে ওঠেন তাঁরা। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আসতে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। বাকি পথের ভোগান্তি মাথায় রেখেই আপনজনের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন তাঁরা।
প্রাইভেটকারের চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর পৌনে পাঁচটায় ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। পথে পথে শুধু যানজট আর যানজট। তিনি আরও বলেন, যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায়, উল্টো পথে যানবাহন চলায়, মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে লোকাল বাসের স্ট্যান্ড গড়ে তোলায় এমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গণপরিবহন ছাড়াই মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি। গণপরিবহন চলাচল করলে অবস্থা কী হতো?
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে কিছুটা ধীরগতি ও অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে হাইওয়ে পুলিশ। সূত্র প্রথম আলো









Discussion about this post