শহরের প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় একটি বাড়িতে গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ নৈশপ্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া এলাকায় একটি বাড়ির ছাদের একটি গ্যাস সংযোগ থেকে বিস্ফোরণে ভবনের দুই নিরাপত্তারক্ষী দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাষাঢ়া প্রেসিডেন্ট রোডের জিএম গার্ডেন নামের একটি বহুতল ভবনের ছাদে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন—বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী উজ্জ্বল ও মানিক। তাদের শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বাড়ির বাসিন্দারা জানান, ছাদের একটি কক্ষে গ্যাসের একটি সংযোগ ছিল, যেটি বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হলে সেখানে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হতো। সেই গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ভবনের প্রহরী মোহাম্মদ আলী জানান, ৮তলায় গ্যাসের লাইনে সমস্যা ছিল। এজন্য একট মিস্ত্রি এসে সেটা মেরামত করেন।
এক পর্যায়ে দুইজন নিচে নেমে যান। তখন রান্না ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। পরে আবার দুইজন সিগারেট হাতে উপরে উঠে রুমে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, মূলত বাড়ির ছাদের একটি কক্ষে গ্যাসের একটি সংযোগ ছিল, যেটি ওই ভবনটির বাসিন্দাদের কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সেখানে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হতো। সেখানে কোনো কারণে গ্যাসের লাইনটি চালু থাকায় গ্যাস নির্গত হয়ে জমে গিয়েছিল। সেখানে সিগারেটের অংশ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কোনো দাহ্য কিছু জ্বালানোর কারণেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে দুজন দগ্ধ হয়েছেন।
ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান জানান, দগ্ধ দুজনকেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এক বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি। তাদের মধ্যে ৩৭ জন মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।









Discussion about this post