নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আ্রকান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১০ জন।
এদিকে দুটি ট্রাকে করে সোমবার রাতে ‘অবরুদ্ধ’ নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার সময় রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকা থেকে পুলিশ ৭০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে।
জেলার করোনাভাইরাস বিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, এ জেলায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত আরও তিনজজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৩৩ জন মারা গেলেন। আর গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১০ জন। এই ১০ জন নিয়ে এ জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪২১ জন।
ঢাকার পরে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কের মধ্যে জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা থেকে বের হওয়া ও জেলায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।এরপরেও লোকজন জেলা থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরছে।
জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, ফতুল্লার পাগলা এলাকা থেকে একজন কাউন্সিলরের সুপারিশ করা একটি কাগজ নিয়ে দুটি ট্রাকে করে ৭০ জন লোক জেলা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোমবার রাতে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ধান কাটার জন্য কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায় যাচ্ছেন বলে জানান। কিন্তু ঘটনা যাচাই করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে তাদের বুঝিয়ে নারায়ণগঞ্জের বাসায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান জায়েদুল আলম।
অত্যন্ত ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার সবাইকে ঘরে থাকতে বললেও নারায়ণগঞ্জ শহরে জনসমাগম দেখা গেছে। দেখা গেছে যান চলাচল করতেও।
শহরের পাইকারী কাঁচাবাজার, দ্বিগুবাবুর বাজার, কালিরবাজার, চারার গোপ ফলের আড়ত, নিতাইগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরুত্ব মানা হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন গণমাধ্যম কে বলেন, “সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। সবার ঘরে থাকা নিশ্চিত করার জন্য আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও কঠোর হব।”








Discussion about this post