বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে দলের পূর্বঘোষিত গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় জেলা বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির অনশন কর্মসূচী পালিত হয়।
জেলা বিএনপির কর্মসূচীতে আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সরকার আজ মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তারা আর ভারসাম্যহীন কথাবার্তা বলছে। এদেশের মানুষ কোনভাবেই খালেদা জিয়ার সাথে এ ধরনের অবিচার মেনে নিতে পারছেনা। আমরা যেখানেই যাই সেখানেই মানুষ আমাদেরকে তার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তাকে শুধুমাত্র ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এটা স্পস্ট তাকে আইন আটকে রাখেনি হাসিনা আটকে রেখেছে।
মহানগর বিএনপির কর্মসূচীতে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমাদের উদ্দ্যেশ্য একটি। জনগনের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্টিত করা। আজকে আপনাদের ভোটের কথা বলতে গিয়েই আপনাদের প্রান প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত। এই সরকার মুসোলিনির আদর্শে বিশ্বাসী, মুসোলিনি ছিল কর্তৃত্ববাদী। আজলে নির্বাচন শব্দটাই এই দেশের জনগনের মধ্য থেকে নির্বাসিত। আমরা জনতার আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাই এবং শেখ হাসিনার বিচার চাই।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, যদি বিএনপি চেয়ারপারসন সুস্থ হতে না পরেন, যদি তিনি জনগনের দাবী নিয়ে রাজপথে না নামতে পারেন, যদি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায় আওয়ামী লীগ সরকারকে বহন করতে হবে। আগামী প্রজন্মের কাছে এর হিসাব দিতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি তাকে মুক্তি দিয়ে অনতিবিলম্বে বিদেশে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
তিনি বলেন, আসম আব্দুর রবকে কারাবন্দী অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদেরকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। শামীম ওসমান আপনিও বিদেশে গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। সরকার যেকোন সময় তার ক্ষমতা দিয়ে দন্ড স্থগিত করতে পারে। দুটি কর্মসূচীতেই জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।









Discussion about this post