মৃত্যুর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও বিতর্ক যেন কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না এতিম সুজনের পরিবারের । হাজেরো কেলেংকারী, হত্যা, নারী কেলেংকারী, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের পর অপঘাতে মৃত্যু হয় এতিম সুজনের ।
একের পর এক অঘটনের পর ফের বাড়ি ভাড়া কেন্দ্র করে প্রয়াত সেই এতিম সুজনের ভাইয়ের সাথে হাতাহাতির একপর্যয়ে মেহেদী হাসান (৭৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের নলুয়া পাড়ায় এলাকার এতিম সুজনের ভাই রানার সাথে ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসানের এই হাতাহাতির ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, বাড়ি ভাড়ার ১৫শ টাকার জন্য বাড়ির মালিক এতিম সুজনের ভাই রানার সাথে তর্ক বির্তক হয় মেহেদী হাসানের। ওই সময় রানা ধাক্কা দিয়ে মেহেদী হাসানকে ফেলে দিলে সে গুরত্বর আহত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছেলে জুম্মন।
আহত মেহেদী হাসানকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরীয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জিএম মোস্তফা মেহেদী হাসান কে মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জিএম মোস্তফা নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, নিহতের লাশ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। মৃত অবস্থায় ই তাকে নিয়ে আনা হয়েছিলো ।
বিষয়টি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছেন, বাড়ি ভাড়া কেন্দ্র করে হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাড়িওয়ালা রানা ভাড়াটিয়া মেহেদী হাসানকে ধাক্কা দিলে সে আহত হয়। ওই সময় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে এমনটিই ধারনা করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এলাকাবাসী দাবী বৃদ্ধের সাথে বকাঝকি, গালিগালাজ ও চিৎকার চেচামেচি শুনেছি । তাকে মেরেছিলো কিনা কেউ বলেতে পারে নাই।









Discussion about this post