কি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে ? প্রশাসন কি আসলেই কাজ করে নাকি যার যার ধান্ধায় ব্যস্ত থাকে ? নইলে এতা অপরাধ কি করে ঘটছে ? নারায়ণঞ্জে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন কি শুধু নাগরিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের যন্ত্র হিসেবেই কাজ করবে ? প্রকাশ্যেই অপরাধ ঘটলেও আইনশৃংখলা বাহিনী কোন কাজ না করে, তাহলে কি করে ? এমন প্রশ্ন পুরো শহর জুড়ে ।
সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের যত্রতত্র নিষিদ্ধ পলিথিনের কারবার দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসলেও এবার জানা গেছে শহরের এবার খোদ জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন রহমতউল্লাহ মুসলিম ইন্সস্টিটিউট শপিং কমপ্লেক্সের আন্ডারগ্রাউন্ডের গাড়ি পর্কিংয়ের জায়গা দখল করে নিষিদ্ধ পলিথিনের কারবার শুরু করেছে চোরাই কারবারীরা ।
অপরদিকে শহরের প্রতিটি বাজারে যত্রতত্র পলিথিন বিক্রি হলেও নগরীর শীতলক্ষা এলাকার কড়ই তলা, নিতাইগঞ্জ, নয়ামটি এলাকায় প্রকাশ্যেই বিশাল বিশাল কারখানায় তৈরী হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন । যা অজ্ঞাত কারণে নজরেই আসে না আইনশৃংখলা বাহিনীর ।
প্রশাসনের সাধারণ কিছু অসাধু কর্মচারীদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের যত্রতত্র নিষিদ্ধ পলিথিনের কারবার বিরামহীনভাবে চলে আসলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ পলিথিন কারবারীদের হোতা লিটন সাহা, সবুজ, নারায়ণ, ভোলা, বাবুল, সাগরগহ আরো কয়েকজন নারায়ণগঞ্জ শহরের নিষিদ্ধ পলিথিনের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেই যাচ্ছে । একই সাথে রাজধানী থেকে চোরাইপথে কাঁচা মাল ( নিষিদ্ধ দানা ) অবৈধ কারখানায় মজুদ করে সরকারের বিশাল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধুদের ম্যানেজ রাখছে নানা পন্থায় ।
লিটন সাহা, সবুজ, নারায়ণ, ভোলা, বাবুল, সাগরসহ এই চক্রের কয়েকজন মাত্র কয়েক বছরে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ম্যানেজ করে চোরাই পথে নিষিদ্ধ পলিথিনের দানা নারায়ণগঞ্জের কারখানাগুলো নিয়ে এনে পলিথিন তৈবী করে একদিকে যেমন সরকারী মার্কেট দখল করে গুদামজাত করছে ঠিক তেমনি পরিবেশ আইনকে তোয়াক্কা না করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে । উল্লেখিতরা নিষিদ্ধ পলিথিনের কারবার করে এককজন সামান্য কর্মচারী থেকে বর্তমানে বাড়ী গাড়ী ও বিশলি সম্পদের মালিক।
এই নিষিদ্ধ পলিথিন কারবারী চক্র একদিকে যেমন জেলা প্রশাসনের অসাধুদের ম্যানেজ করে সরকারী এই মার্কেটে নিষিদ্ধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি এই অপরাধী চক্র নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে নানা ধরণের অপরাধ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ।
নিষিদ্ধ পলিথিন কারবারীদের বিষয়ে শহরের কোন ব্যবসায়ী মুখ খুলতে সাহস করে না । শহরের বুকে এই অপরাধীরা ব্যবসা করলেও জেলা প্রশাসন কিংবা সিটি কর্পোরেশনসহ কোন সংস্থা এমন অপরাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় শহরে রয়েছে নানা সমালোচনা ।









Discussion about this post