মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের ৯১তম কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার নাসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১৫ ডিসেম্বর। এরপর ২০ ডিসেম্বর মনোনানয়পত্র যাচাই-বাছাই চলবে। বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থীরা ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। দুই সপ্তাহের প্রচারণা শেষে নাসিক নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের ৯১তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এতে সভাপতিত্ব করেন। এই সভার প্রথম এজেন্ডাই ছিল নাসিক নির্বাচনের তফসিল।
২০১১ সালের ৫ মে সিদ্ধিরগঞ্জ, কদমরসূল ও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাকে ২৭টি ওয়ার্ডে বিন্যস্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। ওই বছরেরই ২৩ জুন দেশের সপ্তম সিটি করপোরেশন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই সিটি করপোরেশন। চার মাস পর ৩০ অক্টোবর প্রথমবারের মতো ভোট হয় নাসিকে। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে জয় পান ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সেবার তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তবে তিনি মাঝপথেই ভোট বর্জন করেন। আর তখন শামীম ওসমান ছিলেন চিকিৎসক সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান প্রতিপক্ষ । ওই নির্বাচনে শামীম ওসমান বিশাল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলে মেয়র হিসেবে সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রথম নাসিক চেয়ারে অধিষ্ঠিত হন ।
এরপর এবং নাসিকের সবশেষ নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর। সেবারও আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের মধ্যেই ছিল মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ভোটের ফল বলছে, সেলিনা হায়াৎ আইভী পান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট এবং অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।









Discussion about this post