নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় নিজের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে লেনদেন চলাকালীন অবস্থায় ব্যাংকের ভেতর নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রবেশ করেন এই মেয়র প্রার্থী।
এই সময় তিনি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত জনসাধারণ প্রবেশের জন্য সংরক্ষিত স্থানেও ঢুকে পড়েন। তার এমন কর্মকান্ডকে ‘কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছেন সরকার দলীয় নেতাসহ ব্যাংকে উপস্থিত অনেক গ্রাহক ।
সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা শুরু করেন অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার। পরে তিনি যান চাষাঢ়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের পিন্সিপাল শাখায়। সেখানে তিনি তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রবেশ করেন। তার পক্ষে নেতা-কর্মীরা লিফলেট বিতরণ করেন। এই সময় তৈমুর আলম খন্দকার ব্যাংকের প্রতিটি তলায় গিয়ে তার পক্ষে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এই সময় তৈমুর আলমের সাথে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টুসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সাধারণ এমন নিয়ম না থাকলেও সোনালী ব্যাংকের উর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ এই মেয়র প্রার্থী বাধা দেননি। তবে বিব্রত হয়েছেন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এই বিষয়ে কথা বলতে সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার ডিজিএম মো. ইয়াসিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য সংযুক্ত করা যায়নি।
তবে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর এমন কর্মকান্ডকে ‘কান্ডজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি দল আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু। তিনি বলেন, ‘একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত জায়গা যেখানে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে সেখানে কর্মীবাহিনী নিয়ে তিনি কীভাবে ঢোকেন? কর্মীবাহিনীর আড়ালে অন্য কেউ যদি কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলতো তাহলে তার দায় কে নিতো? একটা অর্থ লগ্নকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান যখন টাকা লেনদেন চলছে তখন তিনি কর্মীবাহিনী নিয়ে ঢুকলেন। এটি বিবেকবর্জিত কর্মকান্ড। একজন মেয়র প্রার্থীর এমন কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ড সমীচিন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি নিজেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে জোরেসোরে কথা বলছেন। অথচ একটি ব্যাংকে লেনদেন চলাকালীন সময়ে প্রচারণা করা যায় না, সেটা কী তিনি জানেন না? উনি তো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। ওনার তো স্বাভাবিক আইন জানার কথা। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও কেন বাধা দেওয়া হলো সেটাও আশ্চর্যের ব্যাপার।’








Discussion about this post