নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সাজার চার মাসেও দণ্ডিত ব্যক্তিকে মামলার আদেশের অনুলিপি না দেয়ায় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দণ্ডিত ব্যক্তির করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার চার মাসেও দণ্ডিত ব্যক্তিকে মামলার আদেশের অনুলিপি কেন দেয়া হয়নি সাতদিনের মধ্যে তার জবাব চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে আগামী ১ ডিসেম্বর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই র্যাব সদর দপ্তরের দেওয়া মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে সাতদিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসাইন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো.মিজান মিয়াকে মৎস ও পশু খাদ্য আইনে গত ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.সারওয়ার আলম।
এরপর মিজান মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই সাজার বিরুদ্ধ আপিল করতে তিনি গত ২১ জুলাই আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেন।
কিন্তু সাজার পর চার মাস পার হয়ে গেলেও সে আদেশের অনুলিপি পাওয়া যায়নি। ফলে আপিলও করতে পারছেন না মিজান মিয়া। মামলার ওই আদেশের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তিনি রিট আবেদন করেন, বলে জানান আইনজীবী সাখাওয়াত।









Discussion about this post