শহর অশান্ত করার মহা পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় এবার নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের গ্রীন্ডলেস ব্যাংকের মোড় থেকে চাষাড়ার প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দখল করে পুলিশের বিরুদ্ধে হকারদের নাটকীয় উস্কানী মূলক শ্লোগান, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সুগন্ধার সামনে পরিত্যাক্ত কাপড়ে আগুণ দিয়ে অভিনব কায়দায় এবার হকাররা প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে ।
এমন অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে সুগন্ধা রেস্তোঁরার কয়েকজন স্টাফ পুরোটাই নাটক বলে মন্তব্য করেছেন । কেউ কেউ বলেন প্রতি রাতে এই সুগন্ধায় পুলিশকে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করে চাঁদাবাজ আসাদ । আর এই আসাদ ও পুলিশ ঠিক করেছেন সড়কে আগুন জ্বালিযে দেয়ার পর পুলিশ যাতে দ্রুত সুগন্ধা রেস্তোর পাইপ দিয়ে আগুণ নেভাতে পারে সেই লক্ষ্যে আগেই আালোচনা করে রেখেছে সুগন্ধা কর্তৃপক্ষের সাথে।
পুলিশ আর হকারদের এমন পরিকল্পনায় আজকের এই আন্দোলন হয়েছে বলে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে তাদের নাম প্রকাশ না করতে বিশেষ অনুরোধ জানয়েছেন এই স্টাফরা । এমন কড়া ভাষার সমালোচনার রেকর্ড সংরক্ষনে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর দপ্তরে ।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শহেরর গ্রীন্ডলেস মোড় চাষাড়ার প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল, নাটকীয় ধাওয়া, পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের গোপন আলাপ করে টাকা নেয়ার চিত্রও ধরা পরে গণমাধ্যমের ক্যামেরায় । এরপর পরিকল্টনার শেষাংশে সুগন্ধা রেস্তোরার সামনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায় হকাররা ।
এমন ঘটনায় পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো আজকেও হকারদের উঠিয়ে দেয়ার কর্মসূচি নেয়া হয়। এতে বিশেষ কিছু হয়নি।
গোপনে পুলিশের সাথে আলাপকালে কয়েকজন সংবাদকর্মীর ক্যামেরায় হকারদের এমন চিত্র ধরা পরার পর ফের কৌশল পাল্টে পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দেখা যায় হকারদের । হকার ও তাদের নেতাদের নেতাদের দাবি, তারা শান্তিপুর্ণ এক কর্মসূচি শেষে যে যার মতো ফিরে গেছেন। কিন্তু তারপরেও ওসির নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ তাদের অলিতে গলিতে ঢুকে লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ হকাররা রাস্তায় নেমে আসে। তখন অজ্ঞাত কেউ রাস্তায় কিছু কাপড়ে অগ্নিসংযোগ করে।
সুগন্ধা রেস্তোরাঁ থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি নিয়ে আগুণ নেভানোর পর রেস্তোরাঁ এক স্টাফ নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, আমরা এখানে চাকরী করি । কি যে করে হকার আর পুলিশ তা না দেখলে বিস্বাস করা যাবে না । প্রতি মাসে রাখ লাখ টাকা চাঁদা উঠায় আসাদ । সেই টাকা কারে দেয় ? পুলিশ আর নেতারাই তো খায় । তাইলে এই চাঁদাবাজদের (লালে পালে) লালন পালন করে কারা ? এই থেইক্কাইতো বুঝা যায় মহা নাটক করতেছে এই হকাররা । আর এই নাটকের পেছেন কারিগর হইলো নেতা আর পুলিশ ।









Discussion about this post