জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ দুর্বল নয়। অনেকে দুর্বল করার চেষ্টা করে প্রচার করে কিন্তু পরে মূল ধারায় চলে আসে। কারো জন্য আওয়ামীলীগ সরকার বদনাম কাধে নিবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আদর্শে যারা রাজনীতি করে তারা হলেন প্রকৃত আওয়ামীলীগার। রাজনীতি করতে হলে ভাই-বোনের কাছে যেতে হবে না। যোগ্য হলে তাকেই দলের শীর্ষ পদে আসীন করবেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগের পদে আসতে কোন ভাই-বোনের আশীর্বাদ লাগে না। আওয়ামীলীগকে চাপে ফেলতে অনেকে অনেক কৌশল করে থাকে, সাবধানে সে কৌশল বিনষ্ট করে দিতে হবে।
৮ জানুয়ারি বিকালে সোনারগাঁও ইছাপাড়া বাইতুল আকসা জামে মসজিদ উদ্বোধন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। এ সময় মসজিদ উন্নয়নের জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন আনোয়ার হোসেন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে আজ দীর্ঘদিন যাবৎ শহর ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। এরপর আমাকে যোগ্য মনে করেছে বলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়েছে। তিনি ( শেখ হাসিনা ) বলেছিলেন, আনোয়ার মানুষের ঘরে ঘরে যাও। আমি চেয়ারম্যান শপথ নেয়া পর থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। বিধি ভেঙ্গে কাউকে কোন সুবিধা দেয়নি, টেন্ডারবাজীতে কাউকে কোন সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়নি। সফলতা সহিত কাজ করে থাকলে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফের চেয়ারম্যান মনোয়ন দিতে পারে, যোগ্য না হলে অন্য কাউকে দিবে। তবুও কারো কাছে মাথানত করবো না, বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে আছি, মৃত্যুর আগেও সে আদর্শ নিয়ে মাঠে থাকবো।
উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান কালাম, মামুন ভূইয়া, জেলা আওয়ামীলীগেরর সহ-সভাপতি আরজু ভুইয়া, আবদুল কাদির, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, আনিসুর রহমান দীপু, সামসুজ্জামান ভাসানী, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সদস্য ফারুক হোসেন, মোস্তাফিজুর রাহমান মাসুম, সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সহ জেলা ও সোনারগাঁও এর গন্যমান্য ব্যক্তি।









Discussion about this post