সিদ্ধিরগঞ্জে প্রশাসন ম্যানেজ করার কথা বলে মাসিক হারে সিএনজি মালিক ও চালকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা তুলছে সাদ্দাম হোসেন আকাশ নামে এক যুবক। বেশ দাপটের সাথেই দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি চালক এই যুবক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএনজি মালিকেরা জানান, পূর্বে সাদ্দাম ভাড়ায় ড্রাইভার হিসেবে সিএনজি চালাতো। সাংবাদিকের পিএস পরিচয়ে বেশ কয়েকটি সিএনজির মালিক হয় সে। এরপর থেকেই পুলিশের নামে সিএনজি মালিকদের কাছ থেকে মাসিক হারে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলতে শুরু করে সাদ্দাম। তাকে চাঁদা না দিলে রাস্তায় কারও সিএনজি চলতে দেয় না। পুলিশের মাধ্যমে মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়। বিগত সাত বছর ধরে সাদ্দামকে চাঁদা দিয়ে আসছে বলে জানান সিএনজি মালিকরা।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ৫০টি এবং ঢাকা মেট্রোর ১৫০টি মিলিয়ে প্রায় দুই’শ সিএনজি মালিকের কাছ থেকে পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে চাঁদা নেয় সাদ্দাম। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিটিতে চলাচলকারী প্রতিটি সিএনজি থেকে ৩০০ টাকা আদায় করে।
এ বিষয়ে জানতে সাদ্দাম হোসেন আকাশকে ফোন করা হলে তিনি চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা তথ্য। আমি এসব কাজে জড়িত না। পরে সে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয় এবং কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন লোক মারফতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম বেগ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানায়, চাঁদাবাজ যে-ই হোক- প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজী করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।









Discussion about this post