নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে নৌকাকে দাবিয়ে রেখে লাঙ্গলকে জেতানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের পদধারী হয়ে, আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য হয়েও লাঙ্গলকে পাস করাচ্ছে। মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দিনকে নাটকীয়ভাবে পরাজিত করানো হয়েছে। সেখানে লাঙ্গলকে বিজয়ী ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অতীতেও নৌকার ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। পুরোনো কথা বলতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে নৌকা তুলে দেওয়ার পরও ষড়যন্ত্র চলছে। এ নিয়ে দাঙা-হাঙামার কথা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।”
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সমর্থন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ৬ ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন জানিয়ে সভা করে।
আইভী বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে। অনেককে চাপ দিচ্ছে, প্রলোভন দেখাচ্ছে। প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অরাজকতা ঘটিয়ে বানচালের চেষ্টা করছে। আমি তাদের বলবো অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে নৌকার জন্য কাজ করুন। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না। সম্প্রতি দেখেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর (মুরাদ হাসান) অবস্থা কী হয়েছে। আমরা কারও এমন পরিণতি চাই না।
তিনি আরও বলেন, নেত্রীর কথায় আমার জন্য কাজ করায় সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ কাজটি করা মানে নেত্রীর জন্য করা। কিন্তু যারা এ সুযোগটি নিতে পারলেন না আমি মনে করি তারা দল ও নেত্রীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেন না। ভবিষ্যতে নেত্রী যার পক্ষে থাকবেন আমরাও তার পক্ষে থাকবো।
সভায় আড়াইহাজারের ছয়টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ছয়জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন সেখানকার সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী, রূপগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি নীলা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।









Discussion about this post