নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
চাঞ্চল্যকর স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলায় ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার ২০ মার্চ দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.আনিসুর রহমান ।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যা ঘটনার নির্মম হত্যাকান্ডের বিষদ বর্ণনায় নিহত প্রবীর চন্দ্র ঘোষের বন্ধু মলয় দে, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি অরুণ কুমার দত্ত, সহ সভাপতি রতন ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক মুকুল মজুমদার ।
জেলা ও দায়রা জজ মো.আনিসুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ কালে হত্যাকান্ডের মূল হোতা পিন্টু দেবনাথ, জামিন প্রাপ্ত আসামী বাপন ভৌমিক ও মোল্লা মামুন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করে ।
এ সময় মামলার বাদী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, নিহত প্রবীর চন্দ্র ঘোষ এর বাবা ঘোরানাথ ঘোষ ও ছোট ভাই বিপ্লব চন্দ্র ঘোষ ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, সরকারি পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, রাষ্ট্র সহয়াক এড. মৃণাল কান্তি দত্ত বাপ্পি, এড. জয়ন্ত কুমার ঘোষ, এড. মুহাম্মদ আনিসুর, এড. জনি চন্দ্র গোপ।
পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আলোচিত প্রবীর হত্যা মামলার এ পর্যন্ত মোট ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছে । এই মামলার সকল সাক্ষী সম্পন্ন হলে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করা হবে ।
মামলার বাদী নিহত প্রবীর চন্দ্র ঘোষ এর ছোট ভাই বিপ্লব চন্দ্র ঘোষ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, আমি আমার ভাইয়ের হত্যা মামলার আসামী পিন্টু, আব্দুল মামুন মোল্লা ও বাপন এর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি ।
মামলায় সাক্ষ্য প্রদানকারী অরুণ কুমার দত্ত, রতন ঘোষ এবং মুকুল মজুমদার জানান, আমরা চাই এই নির্মম হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হউক । আমরা স্বর্ণ সমিতির সকল সদস্য কলুষমুক্ত হতে দ্রুত বিচারের দাবী জানাচ্ছি ।
সকাল থেকেই আদালতে হাজির করার পর ধূর্ত ঘাতক পিন্টু দেবনাথ কখনো কেদে বুক ভাসিয়ে ফেলেছে আবার নিজেকে গুরুতর অসুস্থ্যতার অভিনয় করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে। অসুস্থ্যতার আচরণ করলেও আদালতের কাঠগড়ার জানালা দিয়ে ঘাতক পিন্টু দেবনাথ তার স্বজনদের সাথে নানাভাবে পরামর্শ করতে দেখা যায় ।









Discussion about this post