নারায়ণগঞ্জ সদর উপচজলার ফতুল্লার যমুনা তেল ডিপোর নির্বাচনের দাবী করায় আফসু ও সালাউদ্দিন বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন কাছে উক্ত সংগঠনের সাবেক সভাপতি মো.খলিলুর রহমান বাবুলসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তেলচোরা আফসু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন খলিলুর রহমান বাবুল।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিগত ২৮/২৯ বছর যাবত তেল চোর চক্রের অন্যতম হোতা আফসু ও তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী যমুনা তেল ডিপো শ্রমিক ইউনিয়নের কোন নির্বাচন দিচ্ছেন না । তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য তাদের মনগড়া কমিটি দিয়েই চালাচ্ছে সংগঠনের কার্যক্রম। এবং সাধারন শ্রমিকের উপর চালাচ্ছে নির্মম নির্যাতন, তাদের প্রকৃত হক নষ্ট করে চলছে উক্ত আফসু বাহিনী।
হামলার শিকার একাধিক শ্রমিক দীর্ঘদিন যাবত যমুনা তেল ডিপো শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবী করিয়া আসছে। অদ্য সোমবার দুপুর ২টায় আমি ও ট্যাংলড়ী ড্রাইভার মো.আল আমিন যমুনা তেল ডিপো শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে গিয়ে বিবাদীদের কাছে নতুন নির্বাচনের কথা বললে অভিযোগকারী খলিলুর রহমান ও আল আমিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগারাজ করেন এবং এক পর্যায়ে আফসু, সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন মিলিত হয়ে খলিলুর রহমান বাবুল ও আল আমিন কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ সময় শ্রমিক শাহীনআহতদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে বিবাদীরা শাহীনকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে অন্যান্য শ্রমিকরা এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকী প্রদান করে অফিস থেকে বের করে দেয়।
এদিকে আফসু ও সালাউদ্দিনগংদের হাতে নির্যাতনের পর যমুনা তেল ডিপো শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন শ্রমিকরা একটি মিছিল নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অবস্থান গ্রহণ করে ।
এ বিষয়ে আফসু মিয়ার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “যে হালায় আমার নামে এই কথা কইবো ওরে লাইথ্যাইয়া পাছার আড্ডি ভাইঙ্গালামু। এই কথা বাদ দিয়া অন্য কথা কন। এগুলান খাইজ্জাইন্না আলাপ।”
উল্লেখ্য, ফতুল্লার তেল চোরদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলা মামলা, ইকবালের আদালতে স্বীকারোক্তি ও ফতুল্লার একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য এবং ব্যাপক অনুসন্ধ্যান করে জানা যায়, ট্যাংক মালিক সমিতির সভাপতি টোকাই থেকে কোটিপতি রহমত উল্লাহ ভান্ডারী (যার বাবা মায়ের কোন পরিচয় নাই), সেক্রেটারী সালাউদিন ( আফসুর ছোট ভাই), ইকবাল, মেঘনার ডিপিার ট্যাংক লড়ি মালিক সমিতির সভাপতি চোরদের হোতা আফসু, মোকলেস, পল্টি দেলু,ফেরহাদ, কামাল, শাহিন, হিরু, ডলফিন দেলু, পাগলার মেয়ের জামাই ইব্রাহীম, সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার ও পঞ্চবটি ডালডা রোডের হাবিবুর রহমান মুন্সীর ছেলে পাভেল, পঞ্চবটির কোটিপতি বাবু, নূরা সেক্রেটারীর ভাই আবু সালাম, যমুনা ডিপো সংলগ্ন তিতাস মার্কেটের দোকানি ও আলেকের ছেলে রুবেল, একই এলাকার সরদার বাড়ির সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হিরোসহ পুলিশের হাতে আটক রুবেল চৌধুরী, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেনসহ পুরো চক্র সকাল ৯ টা থেকে পালাক্রমে ভোর রাত ৫টা পর্যন্ত অবিরাম জ্বালানী তেল চেুরির কারবার চালিয়ে যাচ্ছে কয়েক যুগ ধরে ।
যমুনা ও মেঘনা ডিপোকে কেন্দ্র করে পুরো চক্রটি দিনের সকাল থেকে রাত ১০ পর্যন্ত ডিপো ও গেইট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে প্রকাশ্যেই রমরমা চোরাই তেলের কেটে যাচ্ছে, অপরদিকে রাত ১০ টা তেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অপর চক্র নদীতে জাহাজ থেকে তেলকাটার (চুরি) কারবার অবিরাম অব্যাহত রেখেছে ।
আর এই জ্বালানী তেল চুরির বাগবাটোয়ারা নিয়ে নানা অপরাধ কার্যক্রম প্রায়ই সংগঠিত হলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অসধু কর্মকর্তাদের কারণে অবিরাম চলছে এই চোরাই তেলের কারবার । যা বন্ধ হবে না বলেও মন্তভ্য করেছেন সকলেই ।









Discussion about this post