নিজস্ব প্রতিবেদক
রাস্তা থেকে গার্মেন্টস কর্মী (২২) কে মুখ চেপে ধরে জোড় পূর্বক জঙ্গলে তুলে নিয়ে ধর্ষনকালে স্থানীয় বাসীর সহায়তায় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার কাফিলা দক্ষিণ পাড়ার মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র ও ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও চাঁদনী হাউজিংয়ের মাসুমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হৃদয় (২৩), পটুয়াখালী জেলার সদর থানার ছাত্তার গাজীর পুত্র ও ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও চাদনী হাউজিংয়ের হামিদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া জহিরুল (২৪) ও বরগুনা জেলার আমতলী থানার ইসলামপুরের শহিদ হাওলাদারের পু্ত্র ও ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও চাঁদনী হাউজিংয়ের মাসুমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হৃদয় হাওলাদার(২০)।
বুধবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভোলাইল মরাখাল সংলগ্ন স্থানে গার্মেন্টস শ্রমিক কে সংঘবদ্ধ হয়ে ধর্ষনের চেস্টা কালে স্থানীয়বাসীর সহায়তায় পুলিশ তাদের কে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় তরুনী নিজেই বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত তিন যুবক কে অভিযুক্ত করে ধর্ষনের চেস্টার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়, বাদী ফারিয়া গার্মেন্টসে নাইট শিফটের কাজ শেষ করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পায়ে হেটে ভোলাইল মরাখাল এলাকায় নিজেদের ভাড়া বাসায় ফিরছিলো। মরাখাল সংলগ্ন শুভ’র চায়ের দোকানে পার্শ্বে পৌছা মাত্র গ্রেফতারকৃতরা তার পথরোধ করে। কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই গ্রেফতারকৃতরা তার মুখ চেপে ধরে রাস্তার পার্শ্বের একটি জঙ্গলের (ঝোপ) ভিতর নিয়ে গিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষনের চেস্টা করলে তিনি ডাক-চিৎকার করেন। তার ডাক- চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে জহিরুল কে আটক করে তবে সাথে থাকা অপর দুজন মোঃ হৃদয় ও হৃদয় হাওলাদার পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে লাফিয়ে পরে সাতরে পালিয়ে যাবার চেস্টা করলে পুলিশ তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পৌছে পুকুরে নামা দুজনকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর জানায়, প্রতিরাতে কাজ শেষ হলে তরুনীর স্বামী গার্মেন্টস থেকে তরুনীকে বাসায় নিয়ে যেতো। বুধবার রাতে স্বামী না আাসায় গার্মেন্টসের কাজ শেষ করে পায়ে হেটে বাসায় ফেরার পথে ভোালইল মরাখাল নামক স্থানে পৌছামাত্র গ্রেফতারকৃতরা নারী শ্রমিকের মুখ চেপে ধরে রাস্তার পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গলে (ঝোপ) নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেস্টা করে।
এ সময় তরুনী আত্ন- রক্ষার্থে ডাক- চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানী সহ স্থানীয়রা এগিয়ে এলে গ্রেফতারকৃতরা দৌড়ে পালানোর চেস্টা করে। স্থানীয়বাসী ধাওয়া করে সাইফুল কে আটক করে। সংবাদ পেয়ে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পানি থেকে মোঃ হৃদয় ও হৃদয় তালুকদার কে আটক করে।









Discussion about this post