নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লাল খাঁ এলাকার ফ্ল্যাট বাসায় জমে থাকা গ্যাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে বাঁশের খুঁটির ভর দেওয়া হয়েছে। ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ভবনটির আশপাশের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এই অবস্থায় আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের গঠিত সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার। এসময় তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার উপস্থি সাংবাদিকদের কে বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির সবাই সরেজমিনে গিয়েছিলাম। যারা প্রত্যক্ষদর্শী তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের জবানবন্দি নিয়েছি। বিল্ডিংটা কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে রাজউক ও গণপূর্তের মতামত চেয়েছি। বিল্ডিংটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আমরা আশপাশের বিল্ডিংগুলোর বাসিন্দাদের সতর্ক করে আসছি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা যেন নিরাপদ দূরত্বে থাকেন। বিল্ডিংয়ের পাশের রাস্তায় চলাচলের জন্য নিষেধ করে দিয়েছি।’
এর আগে গত ১২ নভেম্বর ফতুল্লার লাল খাঁর মোড়ে মোক্তার মিয়ার পাঁচতলা ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাট বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে পাশের আরও তিনটি বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফ্ল্যাটের পাঁচটি কক্ষ ও পাশের বাসার তিনটি বাড়ির তিনটি কক্ষের দেওয়াল উড়ে গেছে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন মারা গেছেন। বিস্ফোরণের পর থেকেই ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ভবনের ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির দুই পাশে বাঁশের খুঁটির ভর দেওয়া হয়েছে। তবে বাঁশের এই খুঁটি আশপাশের বাসিন্দাদের কতটা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। তারা যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ার শঙ্কায় ভুগছেন। প্রশাসন তাদের নিরাপদ দূরত্বে যাওয়ার কথা বললেও হঠাৎ করেই তারা নিরাপদ দূরত্বে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

খলিল নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘হঠাৎ করে কোথায় যাবো ? প্রশাসনের লোকজন বলে চলে গেছে। কিন্তু আমরা কোথায় থাকবো সেটার ব্যবস্থাতো তারা করে যায় নাই। এই বিল্ডিং তারা কী করবে তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলেই আমরা চিন্তামুক্ত থাকতে পারি। এখানে এত সময় নেওয়ারতো কিছু নেই।’
জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।








Discussion about this post