নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলঅর ফতুল্লায় বাড়ির গেটে তাসলিমা নামে এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকার দেয়াল নির্মাণ করায় মই বেয়ে চার পরিবারের যাতায়াত করতে হচ্ছে। অবরুদ্ধ পরিবারগুলো কেউ অন্যের বাড়ির উঁচু দেয়ালে মই রেখে আবার কেউবা অন্যের বাড়ির দুই তলার ছাদ দিয়ে যাতায়াত করছে। এভাবেই গত কয়েক মাস ধরে ফতুল্লার শিহারচর তক্কারমাঠ এলাকার চার পরিবার যাতায়াত করছে।
তাসলিমার দাবি- রাস্তার জমিটি তার। যাদের কাছ থেকে জমি কিনেছে, তাদের কাছ থেকে চার প্রতিবেশী রাস্তার জমি নিবেন। তার কাছ থেকে এক ইঞ্চিও রাস্তার জন্য জমি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন।
প্রতিবেশী লিপি আক্তার বলেন, একটি রাস্তা দিয়ে ৪টি পরিবার প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে যাতায়াত করি। এ রাস্তা দেখেই জমি ক্রয় করেছি। আর এ রাস্তা দিয়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ নিয়েছি। এ রাস্তা দিয়েই বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে দুই তলা বাড়ি করেছি। কোনো সময় কেউ বাধা দেয়নি। হঠাৎ তাসলিমা এসে তার জমি দাবি করে সড়কে দেয়াল নির্মাণ করে গেট লাগিয়ে তাতে তালাবদ্ধ করে রাখে। কাউকে যেতে দেয় না। কেউ গেটের সামনে গেলেই মারধর করে রক্তাক্ত করেন। আবার মিথ্যা মামলাও করে দেন। কয়েক মাস ধরে এ সমস্যার কারণে পেছনের বাড়ির দুতলা দিয়ে নিচে নেমে হাট বাজারে যেতে হয়। এভাবে কয়দিন দুর্ভোগ পোহাব ?
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, তাসলিমা দলবল নিয়ে আমার বাড়ির গেটের সামনে দেয়াল নির্মাণ করেছে। এখন বাধ্য হয়ে পাশের বাড়ির ৫ ফুট দেয়ালের দুই পাশে মই রেখে তার উপড় দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শিশুরাও এতো উঁচু মই বেয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে। তাসলিমা স্থানীয় বিচার সালিশও মানে না। কথায় কথায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে একবার তাসলিমার বড় দা এর কোপ খেয়ে দীর্ঘ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছি। এ ঘটনা মামলা করেছি। সে জামিনে এসে আবারো উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু একাধিক বার ডেকেও তাসলিমার সঙ্গে আমাদের আপস মিমাংসা করাতে পারেনি। এতে চেয়ারম্যান আমাদের পুলিশ সুপারের কাছে সাহায্য চাইতে বলেন এবং পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন কপিতে লিখে দেন তাসলিমার অত্যাচারে প্রতিবেশিরা অনেক সমস্যায় আছে।আপনার দৃস্টি আকর্ষণ করছি। এরপর এ ঘটনায় একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে স্থিতিশীল জারিও রয়েছে। তারপরও তাসলিমা আদালতে আদেশ অমান্য করে রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করেছে।
প্রতিবেশি বিল্লাল জানান, আদালতের মাধ্যমে সকলের জমি মাপা হয়েছে। এরপর দলিল মোতাবেক রাস্তার জমিও ঠিক রয়েছে। তারপরও তাসলিমার দাবি রাস্তার ৬ ফুট জমি তার। সে জনপ্রতিনিধি ও আইন কিছুই মানে না।
অভিযুক্ত তাসলিমা বলেন, ওই চারজন অন্যজনের কাছ থেকে জমি কিনেছে। তাদের দাগ ভিন্ন। আর আমি আরেকজনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি। তারা যাদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি তাদের কাছ থেকেই রাস্তা নিবেন। আমার কাছ থেকে কেন তাদের রাস্তা দিব। এটা অন্যায় করা হচ্ছে আমার ওপর। তারা মামলা করেছে আমিও মামলা করেছি। যা হওয়ার আদালতে হবে।









Discussion about this post