নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা খেয়াঘাটের পাশে বালুর ঘাটে এক গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ আগস্ট) ফতুল্লা থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, গভীর রাতে ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আর ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর গভীর রাত হতে বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ফতুল্লার পাগলা ও আলীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সোনারগায়ের মুসার চর ভূইয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রবিন (২১), ফতুল্লার আলীগঞ্জের শিবলু কাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২১), আলীগঞ্জের জোড়া ৫ তলার পাশে মহিবুল্লাহর ছেলে হিমেল (২০), আলীগঞ্জের রেললাইন এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে মোস্তাক (২২), একই এলাকার পলাশ নেতার তেলের পাম্পের পাশে আকবর বেপারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল আউয়াল হাওলাদারের ছেলে মাসুম (২০)।
এছাড়াও ইমন ও রাজা নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের পানগাও এলাকার ১৮ বছরের তরুনী ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরী করে।
বুধবার রাতে ওভারটাইমের পর রাত ১২টার দিকে এক বখাটে খেয়াঘাটে দুই তরুনীকে দেখে ফোন করে অন্যদের ডেকে আনে। তারা ৬ জন চালককে হুমকি দিয়ে তারা দুই তরুনীকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে চালক এক তরুনীকে বাঁচিয়ে আনতে পারলেও অন্যজনকে আনতে পারেনি। রাত দেড়টার দিকে পালাক্রমে গার্মেন্টসকর্মী তরুনীকে ধর্ষণ করে তারা।
ধর্ষণের ঘটনার এক ঘন্টা পর তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাত হতে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার তরুনীর বান্ধবী সহ অটোরিকশা চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে









Discussion about this post