নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
চাচাতো ভাইয়ের সাথে চাকুরী খুজতে এসে ষোল বছর বয়সী এক কিশোরী গণধর্ষনের শিকার হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে ফতুল্লার শারজাহান রি- রোলিং মিল এলাকায় এই গণধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, দক্ষিন শিয়াচর এলাকার মোঃ সিরাজ মিয়ার ছেলে রাসেল (৩৮), রেললাইন বটতলা এলাকার মৃত রুকু মিয়ার ছেলে মোঃ সুজন মিয়া (২৩), দাপা ইদ্রাকপুর শাহজাহান রোলিং মিল্স এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২২), বটতলা এলাকার ফরিদ মিয়ার ছেলে সুমন (২২), শাহজাহান রোলিং মিল এলাকার হাদিছুর রহমানের ছেলে মোঃ রবিন (২৩) ও কোতালেরবাগ এলাকার আঃ লতিফ মিয়ার ছেলে মোঃ আল আমিন (২১)।গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে পুলিশের একটি সুত্র জানায়।
গ্রেফতাকৃতদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আাদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার।
পুলিশের দেয়া প্রেস রিলিজ থেকে জানা গেছে, আক্রান্ত কিশোরী তার চাচাতো ভাই কাদেরের মালিকানা গোগনগর ইউনিয়নের ফকির বাড়ি এলাকার কে.এম ইন্টারন্যাশনাল এ্যাডভান্স মশার কয়েল ফ্যাক্টরীতে চাকরী করে আসছিল। ওই ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে তারা গার্মেন্টসে চাকরির খোঁজে ফতুল্লার বটতলা এলাকায় এসেছিল। সন্ধ্যা ৬ টারদিকে বটতলা রেল লাইনের পাশ দিয়ে আব্দুল কাদের ও তার চাচাতো বোন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে হাটছিল। এ সময় গ্রেফতারকৃতরা তাদের পথরোধ করে আব্দুল কাদেরকে মারধর করে এবং ৩৪’শ টাকা কেড়ে নেয়। এরপর আব্দুল কাদেরের চাচাতো বোনকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মমিন হাজির ইটভাটা সংলগ্ন একটি টং দোকানে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আটকে রেখে পালাক্রমে প্রত্যেকে মিলে দলবেঁধে ধর্ষণ করে ।
তবে ঘটনার রাতে ধর্ষনের শিকার কিশোরীর চাচাতো ভাই জানায়,ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে সে ফতুল্লা রেল লাইন বটতলা এলাকায় চাকুরীর খোজে এসেছিলো।বেশ কয়েকটি গার্মেন্টেসে খোঁজ করে আশানরুপ চাকরীর সন্ধান না পেয়ে লালখাঁ এলাকায় অবস্থিত একটি গার্মেন্টেসে যাওয়ার পথে ফোরকান মসজিদ গলিতে যাওয়া মাত্র গ্রেফতারকৃতরা তাকে মারধর করে জোরপূর্বক কিশোরীকে রেললাইন বটতলার দিকে নিয়ে যায়।
অতঃপর রাত নয়টার দিকে ধর্ষিতা কিশোরী তাকে রামারবাগস্থ একটি ফোন ফ্যাক্সের দোকান থেকে তাকে ফোন অবস্থান জানালে সে তার আত্নীয় মাসুম কে নিয়ে সেখানে গিয়ে কিশোরীকে শারজাহান রোলিং মিল এলাকার ইয়াদ আলী মসজিদ গলিতে নিয়ে আাসে। সেখানে প্রথমে মাসুমদের বাড়ীতে কিশোরীকে আশ্রয় দেয়া হয় । তিনি আরো জানান যে, স্থানীয় রাসেল নামক একজন কে সে চিনতে পেরেছে।
পুলিশ জানায়, মাসুম নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে যুক্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। মামলা নং- ২৮। ইতিমধ্যে জড়িত ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলমান আছে। এর সাথে আরো কেউ জড়িত থাকলে প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল মোঃ মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ









Discussion about this post