ফতুল্লায় ধর্ষন বিরোধী মানব বন্ধনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
এদিকে ঘটনার সময় পুলিশ হামলাকারীদের কবল হতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্বার করতে গেলে হামলাকারী ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু শরিফুল হকের ভাই মুন্না, নিহাদ, কাউছার, তানভীর সহ তাদের সহোযোগিরা পুলিশের সাথে বাক বিতন্ডতায় জড়িয়ে পরে।
এক পর্যায়ে তারা পুলিশ সদস্যদের সাথে অশোভন আচরন করে এবং আটক শিক্ষার্থীদের উদ্বার করে নিয়ে যেতে দেওয়া হবেনা মর্মে পুলিশ সদস্যদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।
ফতুল্লা থানার এক পুলিশ সদস্য জানায়, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা লঞ্চঘাটে গেলে ছাত্রলীগ সভাপতির ভাই মুন্না সহ তার সহোযোগিরা পুলিশ সদস্যদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এ সময় তারা মানব বন্ধনে আসা আটকে রাখা দুই শিক্ষার্থী কে উদ্বার করে পুলিশ কে নিয়ে যেতে দেওয়া হবেনা বলে পুলিশ সদস্যদের বাধা প্রদান করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে ব্যাপক বাক বিতন্ডতায় লিপ্ত হন মুন্না। যা দেখে উপস্থিত অনেকেই হতভম্ব পরেন।
অপর একটি সূত্রের দাবী,হামলাকারীদের কবল থেকে রেহাই পেতে একদল শিক্ষার্থী ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে আশ্রয় নিলে মুন্নার নির্দেশে কিশোর গ্যাং লিডার নিহাদ ও তানভীরের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি প্রেস ক্লাবে প্রবেশ করার চেস্টা করলে সাংবাদিক এবং পুলিশের প্রতিরোধের মুখে তারা প্রেস ক্লাবের গেইট থেকে ফিরে আসে। তবে এ সময় তারা সাংবাদিকদের গালমন্দ করে বলেও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায় ।
এমন হামলার বিষয়ে শুভ চিকিৎসাধীন অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানায়, হামলার পর আমরা পুলিশ, সাংবাদিক ও অভিভাবকদের সহায়তায় হামলাকারী ঘাট পরিচালনাকারী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার হলেও এখনো তাদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই প্রশাসন ।
ধর্ষণ বিরোধী মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় পুলিশ তৎপর ছিলো এখনো কঠোর অবস্থানে রয়েছে । অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ । এমন মন্তব্য করেছেন ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত এস এম শফিকুল ইসলাম।









Discussion about this post