শহরের ফুটপাত দখল করে পসরা বসিয়ে নগরীর লাখো মানুষের সমস্যার কারণ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ বলে থাকেন কোন অবস্থাতেই বসতে দেয়া হবে না হকারদের ।
গেলো কয়েক বছর যাবৎ পুলিশ সুপার মঈনুল হক, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ ও সবশেষ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জে যোগদান করে বারংবার বলে যাচ্ছেন ফুটপাতে কোন অবস্থাতেই বসতে দেয়া হবে না হকারদের । পুলিশ সুপার একদিকে এমন মন্তব্য করছেন অপরদিকে থানা পুলিশের পুলিশের বিভিন্ন টিম (টহল টিম) শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কর সুগন্ধা প্লাস নামক রেস্তোরায় বসে একদিকে ফুটপাতের চাঁদাবাজদের অর্থায়নে বিভিন্ন খাবার গ্রহণের পামাপাশি প্রতিদিন ২ (দুই) হাজার টাকা উৎকোচ নেয়ার খবর এখন সকল হকারদের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে । এমনঘটনার অসংখ্য প্রমাণও দিলেন কেউ কেউ । নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে সুগণ্ধা প্লাসের কয়েকজন রেস্তোরা বয় নাম প্রকাশ না কার অনুরোধে বলেন, প্রতিদিন পুলিশ চাঁদাবাজ আসাদ, রহিম মুন্সী ও অন্যান্যদের টাকায় ৫/৬ জন পুলিশ এক হাজার টাকার খাবার খায় । দুপুরের ও রাতের খাবারের পাশাপাশি নগদ টাকা নেয়ার দৃশ্য সুগন্ধা প্লাসের ক্লোজ সাকিট ক্যামেরা যাচাই করলেই বেড়িয়ে আসবে পুলিশ সুপারের আদেশ কতটুকু পালন করছেন থানা পুলিশের সদস্যরা ! শহরের কয়েকজন হকার নেতা নামধারী চাঁদাবাজদের সকলেই থানায় অবস্থান করার চিত্রই বলে দেয় পুলিশ সুপারের আদেশ হকার ও থানা পুলিশের কাছে নশ্বিমাত্র (উপেক্ষিত )
এনএনইউ ডেক্স :
নারায়ণগঞ্জ শহরে পুনর্বাসনের আগে বসতে দিতে হবে এমন দাবি জানিয়ে স্বারকলিপি প্রদান করার পর মিছিল করেছে হকার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা । এমন দাবীর পর পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, কোন ভাবেই হকার বসতে দিবেন না আর এজন্য বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন ।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল বলেন, ‘ফুটপাতে হকার বসলে মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। এজন্য তাদের কোনভাবেই ফুটপাতে বসতে দেওয়া হবে না। আর কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
হকারদের পুনর্বাসনের দাবির প্রেক্ষিতে এসপি বলেন, ‘পুলিশ উচ্ছেদে সহায়তা করে কিন্তু পুনর্বাসনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মেয়র জানিয়েছেন ৬ শতাধিক হকারকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেখানে যায় না। যেহেতু তারা আন্দোলন করছে তাই এ বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’
২ মার্চ সোমবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বাংলাদেশ হকার্সলীগ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ব্যানারে ওই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে নিতাইগঞ্জ এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে পুনর্বাসন ছাড়া হকার না উচ্ছেদ ও পুনর্বাসনের আগে পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের উভয় পাশে ফুটপাতে বসতে দেওয়ার দাবি জানিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেন।
মেয়র আইভী নগর ভবনে অনুপস্থিত থাকায় হকারদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল আমিন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি মেয়রকে স্মরকলিপিটি পৌঁছে দিবো। তিনিই ব্যবস্থা নিবেন।’
মিছিল শেষে শুরু হয় আবারও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। নগর ভবনের সামনে বসে হকার নেতারা সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্যে করে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের উভয় পাশের ফুটপাত ও এর অলিগলি থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। এসময় হকারদের টেবিল, চেয়ার সহ অর্ধশতাধিক আসবাবপত্র ও মালামাল জব্দ করা হয়। এরপর থেকে হকারদের উচ্ছেদ নিয়মিত পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার অনরোধে কয়েকজন হকার নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন , প্রতিদিন টহল পুলিশ সদস্যদের খাওয়ার বাবদ ২ হাজারের সাথে আরো ২ হাজার নগদ দিতে হয় ডিউটিরত পুলিশের দারোগার হাতে । একই সাথে প্রতিটি দোকান থেকে কন্সষ্টেবলকে ১০ টাকা হারে দিতে হয় । প্রতিদিনে এমন হিসার ছাড়াও থানায় বড় কর্তা ছাড়াও সকল কর্তাদের পিছনে লাখ রাখ টাকা দিতে হয় । আর এই কারণেই এসপির আাদেশ কেউ মানতে চায় না । নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রতিটি ফুটপাত থেকে প্রতি মাসে কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় । আর কারা কারা ফুটপাতের লাইনম্যান তাদের কাছে খোজ নিলেই বেড়িয়ে আসবে আসল খবর । কোন নেতা, কোন কোন সাংবাদিক, কোন কোন পুলিশ প্রতি দিন, প্রতি মাসে কি পরিমাণ টাকা নেয় তার পুরো হিসেব জানতে হলে আইনশৃংখলা বাহিনীর স্বদিচ্ছাই যথেষ্ট ।









Discussion about this post