নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত নিয়ে মর্মাহত জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তিনি বলেছেন, দুই বছর আগে এই ফুটপাত নিয়েই আমার ওপর হামলা হয়েছিল। দুই মাস আগে হকারই আরেক হকারকে মেরে ফেলেছে। তারপরও প্রশাসন কেন এত শৈথিল্য দেখাচ্ছে, তা আমার বোধগম্য নয়। যখন প্রশাসন চায় না ফুটপাতে হকার বসবে না, তখন বসে না। পুলিশ প্রশাসন চাইলে ফুটপাতের সমস্যা সমাধান করতে পারে। ফুটপাতে বসার কোনো কারণ নেই। কারণ, একটি মার্কেট আমরা করেছি, যেখানে ছয় শর বেশি দোকানের ব্যবস্থা আছে। তাই এভাবে ব্যাপক হারে ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কোনো কারণ নেই। শক্তির বলে নারায়ণগঞ্জে এটা হচ্ছে। রাগে-ক্ষোভ-দুঃখে এখন আর বলি না। অনেকবার পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। এটার পেছনে কাদের হাত, সেটা সবাই বুঝি; কিন্তু বুঝেও কিছু করতে পারি না।
আইভী বলেন, ফুটপাত বসানোর পেছনে ১০০ ভাগ চাঁদাবাজি। তা না হলে এখানে হকার বসতে দেবে কেন? সাধারণ মানুষ চায় না, মেয়র চায় না, হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। তবু কাজ হচ্ছে না। সম্প্রতি এক সাংবাদিককে হকাররা পিটিয়েছে। এসব অপরাধ হচ্ছে। তবু ফুটপাত দখলমুক্ত হচ্ছে না। এর পেছনে কোনো না কোনো বড় শক্তি আছে।
প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আইভী এসব কথা বলেন।
এর আগে এক সেমিনারে আইভী বলেন, ‘২০০৩ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি নগরবাসীকে প্রাধান্য দিয়েই কাজ করেছি। আমরা এতো কাজ করার পরও সেটা দেখা যাচ্ছে কম। কারণ হলো আমাদের এ শহরে এতো বেশি মানুষ বসবাস করে এবং মানুষের আনাগোনাও বেশি। সকালে আসে, কাজ করে সন্ধ্যায় চলে যায়। আমাদের ভোটার ৫ লক্ষাধিক কিন্তু সিটি এলাকায় আমার মনে হয় ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষের বসবাস। এলোকগুলো আমাদের ভোটার না। হকাররা সারাদিন আমাদের শহরকে নোংরা করছে। পলিথিন ফেলে ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে। বালি সিমেন্টও ফেলছে। কিন্তু এ হকাররা একজনও ভোটার না। তারপরও তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিতে হচ্ছে। তারা শহর থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা নেয়। বিসিক সিটির বাইরে। বিসিকে যারা কাজ করে তাদের বসবাস সিটির ভেতরে। অনেক সস্তায় বন্দরে মদনগঞ্জে বাসা ভাড়া নিয়ে থেকে শহরে আসেন। এই যে শহরের মধ্যে অরাজকতা বা বিশৃঙ্খলা সেটা কিন্তু আমরা অনেক সময় সামাল দিয়ে উঠতে পারি না।’








Discussion about this post