করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর এ সুযোগে বন্দরে হাজরাদী চাঁনপুর এলাকায় রবির ৬০ বৎসরের দখলকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান ও তার শ্যালক ফজলুল করিম গংদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ১ জুলাই সকালে থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হাজরাদী চাঁনপুর এলাকার আব্দুল আলীর ছেল রবির জায়গায় জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের খবর পেয়ে মালিকানাধীন কাগজপত্র নিয়ে রবি মিয়া বাধা দিলেও কাজ হয়নি। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেয় জায়গায় দখলকৃত মালিক রবিকে। পরে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানের শ্যালক ফজরুল করিম সাংবাদিকদের জানান, রবি মিয়া আদালতে মিসকেছ সহ ৪টি মামলা করে। পরে আমরা মামলার রায় পেয়ে থাকি। পরে বেশ কয়েকজন জন প্রতিনিধিদের নিয়ে বসছে কিন্তু সেখানেও দুইপক্ষের কাগজপত্র দেখে আমাদের পক্ষে রায় দেন। এখন কাজ করতে আসছি আমাদের কাজে বাধা দিচ্ছে তারা।
ভুক্তভোগী রবি মিয়া জানান, আমরা বিগত ৬০ বৎসর যাবৎ এই জায়গার মালিক। আমার বাবা খালেক ও মালেকের কাছ থেকে জায়গাটি ক্রয় করে এই পর্যন্ত ভোগদখলে আছি। আমাদের নামে নামজারি রয়েছে এবং জায়গার খাজনা সহ দেয়া আছে। কিন্তু দেলোয়ার প্রধান ও তার শ্যালক ফজরুল করিম গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমাকে এই জায়গা ছেড়ে দিতে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন আসছে। চেয়ারম্যানের ক্ষমতার প্রভাবে তার শ্যালক ফজলুল করিম তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমাদের উপর জোরজুলুম করে আসছে। দেলোয়ার চেয়ারম্যানের ক্ষমতার দাপটে কোথাও গিয়ে সঠিক বিচার পাইনা।
৪টি মামলার রায়ের প্রশ্নের বিষয় সাংবাদিকদের জানান, যেদিন মামলার শুনানী হবে কিন্তু এর কয়েকদিন আগেই তারা কিভাবে যেনো মামলার রায় নিয়ে এসে পড়ে। এবং এসিল্যান্ড অফিসেও মামলা করছি তদন্ত রিপোর্টেও আমাদের পক্ষে গেছে সেখানেও হঠাৎ করে ফোন দিয়ে আজকে মামলার শুনানী। পরে চেয়ারম্যান অফিসে কয়েকবার বসছে কিন্তু সেখানেও সাবকাবলা দলিল চেয়ারম্যান বাদ করে দেয়। বন্দর থানা পুলিশকেও জানিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ আজকে সকালে দেলোয়ার চেয়ারম্যানের শ্যালক ফজলুল করিম ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী এসে জোরপূর্বক আমার জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করতে আসছে।
বন্দর থানার উপপরিদর্শক মেহেদী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সারাদেশে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন আমরা মাঠে কাজ করছি। জায়গা দখলের খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি এবং কাজ বন্ধ করে দেই। পাশাপাশি উভয় পক্ষকেই বলে দিয়েছি যে পর্যন্ত দুইপক্ষের কাগজ পত্র ঠিক না হবে কাজ বন্ধ থাকবে।








Discussion about this post