‘আমরা আপনাদেরকে জানাতে চাই মোদিকে তো আপনারা নিয়েই আসবেন কিন্তু মোদি বাংলার জমিন থেকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে না। আল্লাহ পাকের তরফ থেকে তাকে পাকড়াও করা হবে। আল্লাহ পাক তাকে করোনায় আক্রান্ত করবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের শত্রু বলে আখ্যায়িত করে হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আমীর ও ডিআইটি মসজিদের আলোচিত সমালোচিত খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল উল্লেখিত মন্তব্য করেছেন।
বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে শহরের ডিআইটি মসজিদের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ থেকে নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমন ঠেকাতে বৃহত্তর আন্দোলন ডাক দেওয়ারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
মাওঃ আঃ আউয়াল বলেন, ‘আজকে সারাদেশে শুধু একটাই কথা, মোদী আমাদের দেশে আসতে পারবে না। এই কথাটা শুধু ওলামা কিংবা দ্বীনদার মুসলিমরা বলতেছে এমন না, এদেশের সব মানুষ একই কথা বলছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে। কিন্তু ওই সময় মোদী ছিল না। আজ মোদী আমাদের দেশে এসে আমাদেরকে গ্রাস করার পায়তারা করছে। আমাদের পানিতে মারার জন্যে তিস্তা বন্ধ করে দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সেখানে বসবাসরত আমাদের মুসলিম ভাইদের নাগরিকত্ব বাতিল করে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। দুইদিন আগেও আমাদের ভাইদেরকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে দিয়ে তারা রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। এছাড়াও তারা পবিত্র কোরআন শরীফের ২৬টি আয়াত বাতিলের জন্যে রিট করেছে।’
হেফাজতের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামীলীগের ভাইয়েরা সে বাংলাদেশের বন্ধু না, সে বাংলাদেশের শত্রু। তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে বসিয়ে, ভারতের লোকদেরকে বসিয়ে ‘র’ এজেন্টদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে। এই ষড়যন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্যে তাকে দেশে আনা হচ্ছে। তারা কোরআন থেকে ২৬টি আয়াত বাতিল করবে। সারা বিশ্বের মুসলমানরা একসাথে দাঁড়িয়ে যাবে। আল্লাহর কোরআন, আল্লাহ পাকের ইজ্জত, নবীর ইজ্জত রক্ষার জন্যে মুসলমানরা জিহাদী কাপড় পরে রাস্তায় নেমে যাবে, কাউকে থামাতে পারবে না। আমরা শুধু আজকে সাময়িকভাবে প্রতিবাদটুকু জানালাম। ইনশাআল্লাহ অপেক্ষায় থাকুন, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসবে।’
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আমীর ও ডিআইটি মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আউয়াল। এ সময় বক্তব্য রাখেন শিশু বক্তা হিসেবে সারাদেশে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী, জেলা হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহ, মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।









Discussion about this post