ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এর প্রভাব পড়েছে গণ পরিবহনে। রাতারাতি ১০-১৪ টাকা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা চলাচলকারী অধিকাংশ বাসের ভাড়া। পরিবহন খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিকাংশ বাস চলে ডিজেলে। ডিজেলের দাম বাড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রভাব পড়বে সর্বত্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যও বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। এতে প্রভাব পড়বে দৈনন্দিন জীবনযাপনে। নিম্নমধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও অভিমত তাদের।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে যাত্রীরা বাসের টিকেট কাটতে গিয়ে দেখেন টিকেটের দাম বেড়ে গেছে।
উৎসব পরিবহন, বন্ধন পরিবহন, হিমাচলের বাস ভাড়া ছিল ৩৬ টাকা। সে ভাড়া এখন হয়েছে ৫০ টাকা। এসি বাস সার্ভিস শীতল পরিবহনের ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা, এটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৫ টাকা।
এমন সিদ্ধান্তে জনসাধারণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্দ মানুষ এতে সরকারের বিষোদ্গার করছেন।
এমনিতেই গত দুই মাস ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, কাঁচাবাজারসহ সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। এর মধ্যে বাসভাড়া বৃদ্ধিতে মানুষের নীরব কান্না এখন চাপা তীব্র ক্ষোভে রূপ নিয়েছে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বাস ভাড়া বাড়ানোর সমালোচনা করেছেন যাত্রীরা।
ঢাকাগামী চাকুরিজীবী আলী হাসান বলেন, আমার তো টিকেট কাটতে এসে চোখ কপালে উঠে গেছে। এক লাফে ১৪ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি! আসলে আমরা তো আর মানুষ না। যে যেভাবে ইচ্ছা সব বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন আর দেশে কোনো নিয়ম নেই।
বন্ধন বাস মালিক সমিতির সভাপতি জুয়েল হোসেন বলেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। তেল, যন্ত্রপাতি, ট্যাক্সসহ সবকিছুরই খরচ বেড়েছে। আমাদের তো সবকিছু চালাতে হবে।









Discussion about this post