এমন ঘটনায় মামলা করতে চাইলে পরবর্তীতে কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের মালিক জিএম ফারুকের সাথে একটি আপোষের চুক্তি হয় । সেখানে উপস্থিত সংবাদকর্মীদেরকে দোতলায় একটি রুমে প্রবেশ করতে না দিয়ে ৩ লাখ টাকায় রফাদফা করেন জিএম ফারুক
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যতম নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুকের মালিকানাধীন কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মিলি (২৭) নামে এক সন্তানের জননীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে ।
এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ভাংচুর করে। এমন খবর পেয়ে হাসপাতালের লোকজন ও পুলিশে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুদ্ধ অনেকেই বলেন জিএম ফারুন নারায়ণগঞ্জ স্বাস্থ বিভাগের গডফাদার, তার কসাইখানায় মানুষ তো মরবেই । জিএম ফারুককে ঠেকাবে কে ? (এমন নানা মন্তব্যের রেকর্ড রয়েছে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর দপ্তরে )
নিহত মিলি পশ্চিম লামাপাড়া শাহ আলমের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী শাহ আলম জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার স্ত্রী হঠাৎমাথা ব্যাথা উঠে। পরে পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডা. জাহেদ আলীকে দেখালে তিনি ব্রেনষ্টেক করেছে বলে জানান। সেই সাথে রোগীকে চাষাড়া কেয়ার জেনারেলহাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেন। ঐ দিন রাত প্রায় সাড়ে ১০টায় মিলিকে কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পরদিন সকালে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে তার স্বামী ও অন্যান্য স্বজনরা অন্যত্র নিয়ে যেতে চান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে নিতে দেয়নি। পরে দুপুর দেড়টার দিকে রোগীটি মারা গেলে স্বজনদের কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশটি এম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যেতে চায়। এ সময় স্বজনরা দেখে ফেলায় সেটা আর করতে পারেনি। এসময় উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাাতালে ভাংচুর চালায়।
শাহ আলম আরও জানায়, তার স্ত্রীর লাশ গুম করার জন্যই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই কাজ করেছে । এমন অপকমের মূল হোতা জিএম ফারুক । আমি তার পয়ে ধরেছি ঘটনা কি জানার জন্য কিন্তু তার মন গলে নাই ।
রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাঃ জাহেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলে পরবর্তীতে কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের মালিক বাম নেতা জিএম ফারুকের সাথে একটি আপোষের চুক্তি হয় । সেখানে উপস্থিত সংবাদকর্মীদেরকে দোতলায় একটি রুমে প্রবেশ করতে না দিয়ে ৩ লাখ টাকায় রফাদফা করেন জিএম ফারুক।
এসময় উক্ত রুমে চাষাড়া ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মিজান সহ বিশেষ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
অসংখ্যবার নারায়ণগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের অঘোষিত গডফাদার জিএম ফারুকের এমন নানা অপকর্ম ধামাচাপা দিতে জেলা বিএমএ ও জেলা প্রশাসনের অনেক অসাধু কর্মকর্তারা নানা ভাবে তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে হুমকি দেয়ার ঘটনায় কেউ সহসাই প্রতিবাদ করতে সাহস করে না । অপরদিকে গণমাধ্যমকর্মীরা দূর্ণীতি ও অপরাধের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করলে তাদেরকেও মামলা দিয়ে হয়রানী করার নজির স্থাপন করেছে এই জিএম ফারুক। ফলে নারায়ণগঞ্জের স্বাস্থ্য খাতের নানা অপরাধ ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না । আবার কোন কোন দালাল রূপী গণমাধ্যমের নামধারীরা জিএম ফারুকের দালালীতে মত্ত থাকেন সারা বছর জুড়েই ।
৩শ শয্যা হাসাপাতালের এই ঠিকাদার ও তার চেলাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ৬ টি মামলা করার নেপথ্যের কারিগর জিএম ফারুক বলেও উপস্থিত অনেক গণমাধ্যমকর্মীরা মন্তব্য করেছেন ।









Discussion about this post