রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার দেওয়ান টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক অনিক (১৮) ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সে বর্তমানে চাঁনখারপুল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মেডিকেল হলের মালিক কথিত ডাঃ এরশাদ চিকিৎসক নন। তিনি ওষুধ বিক্রেতা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনিকের বড় ভাই মঞ্জুর হোসেন বাদী হয়ে গতকাল ২ নভেম্বর সোমবার সোয়াদ মেডিকেল হলের মালিক কথিত ডাঃ এরশাদকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অনিকের বড় ভাই মঞ্জুর হোসেনের থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর তার ছোট ভাই অনিক পড়ে গিয়ে ডান পায়ের গোড়ালীতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে রূপসীস্থ হাবিব কনভেনশন সেন্টারে অবস্থিত সোয়াদ মেডিকেল হল নামের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কথিত ডাঃ এরশাদ তার পায়ের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে নয়টি সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেন। এরপর থেকে ডাঃ এরশাদ প্রতিনিয়ত অনিকের পায়ে ড্রেসিং করে দেন। কিন্তু গত ৩০ অক্টোবর ব্যান্ডেজ খুলে ড্রেসিং করতে গিয়ে দেখেন অনিকের পায়ে পচন ধরে পা ফুলে গেছে।
পরে কথিত ডাঃ এরশাদ রোগীর অভিভাবকদের জানায়, অনিকের পায়ে দ্রুত অপারেশন করতে হবে। সোয়াদ মেডিকেল হলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী ছাড়াই অপারেশন শুরু করলে অনিকের অবস্থা আরো শঙ্কটাপন্ন হয়ে ওঠে। তখন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থার আরো অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনিককে ভর্তি করেনি। উপায়ান্তন না দেখে তার পরিবারের লোকজন অনিককে নিয়ে ফিরে আসেন। ৩১ অক্টোবর অনিককে চাঁনখারপুল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিকের অবস্থা এখনো সঙ্কটাপন্ন। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি হলে তার পায়ে অপারেশন করা হবে।
রূপগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ব্যপারে অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।









Discussion about this post