নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসামী কোন ধরণের সন্তোষজনক তথ্য প্রদান না করায় আবারো বন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় আবারো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুর ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুর বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে বন্দ থানা পুলিশ। আগামী সোমবার ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছে আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম । তিনি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আবারো ৫ দিনের রিমান্ডের আবদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে ।
জানা যায়, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নূরুন নাহার বেগমের আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ অনেক আইনজীবীগণ আদালতে দাড়িয়ে আবদুল করিম বাবুর পক্ষে রিমান্ড বাতিলের জন্য জোড়ালো আবেদন করেন । রিমান্ড শুনানীর তিন ঘন্টার ব্যবধানে বন্দর থানার চাঁদাবাজি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবুর ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুর রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে একদিনের জন্য জেল গেইটে জিঞ্জাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নূরুন নাহার বেগম ।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেল গেইটে আবদুল করিম বাবুর ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও মামলা সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রদান করে নাই বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে । একই সাথে আবারো তাকে জিজ্ঞাসাবাদের লক্ষে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বন্দর থানা পুলিশ ।
কোর্ট ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, বন্দর থা একই মামলায় আবার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে । আগামী সোমবার ২৯ এপ্রিল রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য রয়েছে ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল বিকেল ৩টায় শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে ডিবির একটি দল বন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় আবদুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু ওরফে মাউরা বাবুকে কে গ্রেপ্তার করে । ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানোর পর এ দিন রিমান্ড শুনানীর জন্য মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ধার্য্য করে কারাগারে পাঠায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্দর থানার একটি মামলায় বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী মো. কাউসার। সে বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকার মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে ।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামী আব্দুল করিম বাবু (ডিস বাবু) দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। বিবাদী জোরপূর্বক বন্দরে তার লোকজন দিয়ে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা করছে ও বিভিন্ন জায়গায় কেবল নেটওয়ার্কের তার কেটে নিজস্ব নেটওয়ার্ক লাইন সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধিকারী পারভেজ আলম, সাইফুল ইসলাম শ্যামলের সাথে বাবুর দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। নেটওয়ার্কের ব্যবসার জন্য এলাকার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের মালিকের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরই জেরে গত ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টায় বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা বাজারের রিতুর বাড়ির সামনের নেটওয়ার্কের মেরামত কাজ করা কালে আসামী বাবুর প্ররোচনায় সহযোগীতায় ও নির্দেশে মো. সজিব (৩৫), মো. রিতু (৩২), মো. রনি (৩৪), মো. জুম্মাল (৩৪), মো. নিজুম, মো. রানা (৩৫) সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪ থেকে ৫জন বিবাদী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবন্ধে পথরোধ করে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে নগদ সাড়ে ১০ হাজার টাকা, একটি ফাইভার মেশিন যার মূল্য দেড় লাখ টাকা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও একটি মই মূলা নিয়ে যায়। এছাড়াও বাবুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ফতুল্লা থানায় আরো দুটি চাঁদাবাজির মামলা দোয়ের করে ভূক্তভোগিরা । যে মামলায় এখনো শ্যোন এরেষ্ট দেখানো হয় নাই। এ ছাড়াও আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ১৭ মে ১৪৩,৪৪৮,৩২৩,৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়। যার নং ২৯। একই থানায় ২০১০ সালের ১৩ জুন ৪৪৮,৩২৩,৫০৬ ধারায় আরও একটি মামলা রয়েছে। যার নং ২২। এছড়াও একই থানায় ২০১৩ সালের ১২ জুলাইয়ে দুস্যতার অভিযোগে ৩৯৪ ধারায় আরও একটি মামলা রয়েছে। যার নং ১০। এই মামলায় গ্রেফতার দেলোয়ার হোসেন ওরফে ছোট দেলু ও মো. ঝন্টু এ ঘটনায় বাবুর সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।









Discussion about this post