কি নেই নারায়ণগঞ্জে ? ইচ্ছে করলেই যা খুশি তাই করা যায় প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত এই নারায়ণগঞ্জে । কখনো কখনো খুনিরা প্রকাশ্যেই ঘুরেও বেড়াতে পারে পুলিশের হর্ণ ব্যবহার করে । আর এই শহরে অনৈতিক কর্মকান্ডের সকল ব্যবস্থা ই রয়েছে । নগরবাসী সকল অপরাধীদের কাছে যেন জিম্মি । আর এই শহর হয়ে উঠেছে এক মানবিক শহর হিসেবে । মাত্র কয়েক কিলোমিটারের এই শহরের নিতাইগঞ্জ থেকে চাষাড়া পর্যন্ত অবৈধভাবে শুধু মাত্র পুলিশকে নিয়মিত মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে কয়েক হাজার হকার ফুটপাত দখল করে পুরোদমে জিম্মি করে ফেলেছে নগরবাসীকে । হকার ছাড়াও এই নগরীতে প্রায় অর্ধ লক্ষ অবৈধ রিক্সা / অটো রিক্সা পুরো সড়কে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে প্রতিমুহূর্তে ।
নগরীর সড়কে হাজার হাজার অটো / রিক্সা ! হাজার হাজার দখলকারী হকার প্রতিনিয়তঃ কতটা নির্যাতন করছে নগরবাসীকে তার হিসেব কে দেখছে ? এমন মন্তব্য নগরজুড়ে উচ্চারিত হচ্ছে । এমন অবৈধ দখলকারীদের হাতে যেন জিম্মি পুরো নগরবাসী ।
সম্প্রতি রাজধানী পুরান ঢাকায় এক ধনাঢ্য ব্যাক্তি রিক্সা চালক কে মারধর করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আকারে ছড়িয়ে পরার পর ওই ব্যাক্তিকে আটক করে পুলিশ । অপরদিকে একাধিক পুলিশ রিক্সা চালককে মারধর করার ভিডিও প্রকাশ হলেও সেই বিষয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই কারো ।
এমতাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ শহরে এক রিক্সা চালক মটর সাইকেল আরোহীকে আঘাত করে চলে আসার পর এই ঘটনায় এক রিক্সা চালককে থাপ্পর দেয়ায় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও প্রকাশিত হলে এমন ঘটনায় তীর্যক মন্তব্য করেছেন Sourav Bhuiyan নামের এক যুবক ।
তিনি ( Sourav Bhuiyan ) তার মন্তব্যে তীর্যক যৌক্তিক মন্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো :
সময়ের পরিবর্তনে, যুগের হাওয়ায় এদেশের পত্রিকা/অনলাইনগুলা যদি কোনোদিন পর্ণ সাইট খুলে বসে তাহলে অবাক হবো না। যদিও এখনই কিছু কিছু অনলাইন অলরেডি চটি সাইট হয়ে বসে আছে।
Newsnarayanganj আজকে একটা নিউজ করছে ভিডিও সহ। টাইটেল এবার নারায়ণগঞ্জে বৃদ্ধ রিকশা চালককে মারধর ও রিকশা ভাংচুর।
তারা কি বলতে পারবে ঠিক মত মিনিট থেকে কত মিনিটে ভাংচুরের দৃশ্য টা আছে !? মারধোর বলতে যা বুঝায় সেটাই বা কতখানি !
এটা ঠিক যে চরম মাত্রায় বেয়াদবি করা হয়েছে। একজন বৃদ্ধ বয়সের লোক যতই অপরাধ করুক তার সাথে এমন ব্যবহার কোনো ভাবেই কাম্য না। এর জন্য ছেলেটার শাস্তি পাওয়াও উচিত ।
কিন্তু একটা দায়িত্বশীল অনলাইন কোনো ধরণের সোর্স ছাড়া, ঘটনার পুরো বিবরণ ছাড়াই একটা ভিডিও এমন টাইটেলসহ আপ করে দিলো ! কিভাবে সম্ভব। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ঢাকার ঘটনার সাথে এটাকে মিলিয়ে ভিয়্যূ বাড়ানোর ধান্ধা !!
অথচ চিন্তা করলোনা তাদের এই ভিডিওর কারণে ছেলেটার পরিবারে কি ধরণের এফেক্ট হতে পারে । পুলিশের ভয়ে এখন সে বাড়িছাড়া।
মূল ঘটনা হলো ছেলেটা বাইক চালাচ্ছিল । অটোরিকশা ওভারটেক করে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় ওর পায়ের সাথে লাগিয়ে যায়। এতে করে প্রচুর ব্যাথা পায় এবং আহত হয়। হুট করে ব্যাথা পাওয়ায় কিছুটা রেগে গিয়ে বৃদ্ধলোকটির সাথে বাজে ব্যবহার করে । আমি আবারো বলছি এটা কোনোভাবেই ঠিক কাজ হয়নি ।
কিন্তু এই যে ফেসবুক ট্রায়ালের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এই বয়সে তাতে করে ওর এবং পরিবারের মানুষিক যে অবস্থা সেটা কি আমরা চিন্তা করতে পারি ?
একটা দায়িত্বশীল অনলাইনও বা কিভাবে পুরো ঘটনার অনুসন্ধান না করে শুধু মাত্র ফেসবুকে ভাইরাল বলে একটা ভিডিওতে আরো কিছু মশলা যোগ করে আপলোড করতে পারে ? !
ছেলেটির আহত অবস্থার ছবি সাথে যুক্ত করে দেওয়া হলো।@









Discussion about this post