মামলা দায়েরের পর কি তদন্ত করলো তদন্ত কর্মকর্তা ? কি জবাব দেবেন এই দারোগা ? নিরপরাধ তিন জন কি কারনে জেল খাটানো হচ্ছে ? একটা ধর্ষণের পর খুনের মামলায় তিন জনকেই কি করে স্বীকারোক্তি দোয়ানোর ব্যবস্থা করলো তদন্ত কর্মকর্তা ?
গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মনি।
এক মাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলায় জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোন খোঁজ নেই।
মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায় পুলিশ। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ দিসার সাথে যোগাযোগ করতো। ঘটনার দিনও ওই নম্বর দিয়ে কল করে আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ আগস্ট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামীরা। স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।
২৩ আগস্ট রোববার সেই জিসা মনিকে জীবিত খুঁজে পায় তার বাবা-মা।
বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে তার মা বাবা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
জিসামনির মা জানান, বন্দরের কুশিয়ারা এলাকা ইকবাল নামে একটি ছেলে সাথে গত দেড়মাস ছিলো দিসা। দিসাকে বিয়ে করে তারা সেখানে ছিলো বলে জানান তিনি।
জিসামনি নিজেও নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানায়, সে নিজে প্রেম করেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তারা বন্দরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলো ।
এমন ঘটনায় খোদ নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, মামলা দায়েরের পর কি তদন্ত করলো তদন্ত কর্মকর্তা ? কি জবাব দেবেন এই দারোগা ? নিরপরাধ তিন জন কি কারনে জেল খাটানো হচ্ছে ? একটা ধর্ষণের পর খুনের মামলায় তিন জনকেই কি করে স্বীকারোক্তি দোয়ানোর ব্যবস্থা করলো তদন্ত কর্মকর্তা ?
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি ।









Discussion about this post