বিতর্ক যেন কোন অবস্থাতেই পিছু ছাড়ে না সেই ফরজ আলীর । নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সেই ফজর আলী এবার করোনা সংক্রামণ রোধে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ বা লকডাউন অমান্য করায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জরিমানার সময়ে ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের মালিক ফজর আলীর ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় লকডাউন অমান্য করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ২ হাজার টাকাও জরিমানা করেন।
৩ জুলাই শনিবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়া গোল চত্ত্বর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পরে জরিমানা পরিশোধ করে মুক্তি পায় ফজর আলী।
ফজর আলী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সদর থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ সভাপতি। এছাড়া তিনি গোগনগর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। আওয়ামী লীগের পদ পেতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করার জোড়ালো অভিযোগ ছাড়াও নানা কারনে ফজর আলীর বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকেরা জানান, ‘লকডাউনের তৃতীয় দিন শনিবার ২ জুলাই সকাল থেকেই চাষাঢ়া গোল চত্ত্বর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে জনসাধারণ চলাচলে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। যারা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছে তাদের জরিমানা ও সাজা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় বিকেলে কালো একটি প্রাইভেটকারে চাষাঢ়া আসেন ফজর আলী। এসময় তার সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা ছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাড়িটি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় ফজর আলীর গাড়ির চালক জানান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বাজার করতে যাচ্ছেন সবাই। বাজার করতে একই সঙ্গে এতো মানুষ কেন? প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় এবং লকডাউনের আইন অমান্য করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এসময় জরিমানার টাকা পরিশোধ নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে চালক বাকবিতন্ডা শুরু করে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট চালককে গাড়ির মালিককে ডেকে নিয়ে আসার জন্য বলেন। তারপরই এগিয়ে যায় ফজর আলী। এসময় সাংবাদিকেরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে চাইলে ফজর আলী ধমক দিয়ে ভিডিও ছবি তোলতে নিষেধ করে। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীরা তার কথা না শুনে ভিডিও ছবি তোলতে থাকলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ফজর আলী। তখনই সে গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তবে পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সর্তক করলে চলে যায় ফজর আলী।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মানজুরা মুশারফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘লকডাউন অমান্য করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ না করে সেজন্য সর্তক করা হয়েছে।’









Discussion about this post