শুধু কি র্যাবের সদস্যরা তেলচোর চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে ? তাহলে রাস্ট্রের অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা কি করে ? তারা কি ভেরেন্ডা ভাজেন ? এ ছাড়াও র্যাবের জালে কিছু চেলাচামুন্ডা (ছিচকে চোর) ধরা পরলেও মেহেদী, সিরাজ, মতি, স্বপন, আশরাফসহ অন্যান্য রাঘববোয়ালদের শেল্টার দেয় কে/কারা ? এই রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আবা যায় না কেন ? এমন প্রশ্ন এলাকার জনসাধারণের
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এসও রোডের মেঘনা ওয়েল ডিপো এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০৭টি ড্রাম ভর্তি ১,১৫০ লিটার চোরাই তেল উদ্ধার করেছে র্যাব -১১।
সোমবার ( ২৬ অক্টোবর) দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে এ চোরাই তেল উদ্ধার করে।
এ সময় চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ মাহবুবুর রহমান @ মামুন (৪৫)’কে গ্রেফতার করা হয়।
চোরাই সিন্ডিকিটের সদস্য মোঃ আরিফ (৩৫) কৌশলে পালিয়ে যায়। এর আগে গতকাল ২৫ অক্টোবর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭ টি ড্রাম ভর্তি ৭,৬৬০ লিটার চোরাই তেল উদ্ধারসহ মোঃ শাহাজাহান (৩৫) নামক চোরাই চক্রের সক্রিয় এক সদস্য’কে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সোমবার রাতে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিপিএসসি আদমজীনগর) মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান , সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় অবস্থিত মেঘনা ও পদ্মা ডিপো কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি চোরাই তেলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে যা বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় খবর ও অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে আসে।
এই ডিপোগুলো হতে প্রতিদিন শত শত তেলের লরী তেল ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।
এই সিন্ডিকেটের কাছে কিছু অসাধু লরীর ড্রাইভার ও হেলপার নামে মাত্র মূল্যে তেল ভর্তি লরী থেকে চুরি করে তেল বিক্রি করে। চোরাই চক্র এই তেলের সাথে ভেজাল তেল মিশিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। এই তেল ব্যবহার করে গাড়ীর ইঞ্জিন ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত মোঃ মাহবুবুর রহমান @ মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ও পলাতক আসামী মোঃ আরিফ (৩৫) আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ তেল চুরির অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।
তারা অভিনব কৌশলে অবৈধ উপায়ে জ্বালানী তেল সংগ্রহ এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে মজুদ করে অবৈধভাবে কেনাবেচা করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ।
উল্লেখ্য, এমন জ্বালানি তেল চোর চক্রের হোতারা নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে নদী পথে এবং স্থলপথে প্রকাশ্যে ই ঘৃন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে একেকজন আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে । সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের কয়েকটি অভিযান দেখা গেলেও আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থার সদস্যা এমন প্রকাশ্য চোরাকারবারিদের সামনে অবস্থান করলেও তারা এ বিষয়ে একেবারে অন্ধত্বের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে ৷








Discussion about this post