নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় রাজাকার পুত্র হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি নেতা মাকসুদ চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বন্দর থানার মুছাপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুল কাদির ডিলার ।
মঙ্গলবার ৬ অক্টোবর বন্দর থানায় জিডি (নং ২১০) দায়েরের পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
এতে মাকসুদ চেয়ারম্যান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকীর অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদির ডিলার উল্লেখ করেন, বিগত দিনে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাকসুদ চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীয় বাহিনীর সঙ্গে আমার পূর্ব শত্রুতা রয়েছে।
বিগত ৩ অক্টোবর তারিখে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে আমি উপস্থিত ছিলাম। এরই জের ধরে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকিসহ বর্তমানেও আমার প্রাণনাশের জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করছে।
গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বন্দরের চিড়ইপাড়াস্থ সোনালী পেপার মাঠে বিবাদীগনসহ আরোও ১০/১২ জন মিলে আমার বিরুদ্ধে গোপনীয় মিটিং করে যে, তারা যে কোন সময় আমাকে হত্যা করবে এবং আমার বাড়ি ঘরে হামলা করে ভাংচুর করবে।
ইতিপূর্বে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমার ও আমার ছেলের উপর হামলা করেছিল বলে দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের এ নেতা মোঃ আব্দুল কাদির ডিলার।
যার ফলে পুনরায় তার পরিবার ও নিজের জীবনের উপর আঘাত হানতে পারে বিধায় তার শংকায় এবং জানমালের নিরাপত্তা চিন্তা করে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ও অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান।
জিডি ও অভিযোগে প্রয়াত রাজাকার রফিকের পুত্র চেয়ারম্যান মাকসুদ, চেয়ারম্যান মাকসুদের পুত্র শুভ, চাপাতলীর সামাদের পুত্র ইকবাল, মৃত নান্নুর পুত্র বিল্লাল, কুড়িপাড়ার মো: ওমরের পুত্র সম্রাট, মৃত কাশেমের পুত্র সালাউদ্দিন, মালিবাগের মৃত ইউসুফের পুত্র বিল্লাল হোসেন, পিচকামতালের মৃত খালেকের পুত্র মোক্তার হোসেন ও মো: কামাল, বাগসরাইলের মৃত সিহাবউদ্দিনের পুত্র দেলোয়ার ও মনোয়ার, পিচকামতালের মৃত আব্দুল বাতেনের পুত্র মনির হোসেন, মনির হোসেনের পুত্র আলামিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৩ অক্টোবর (শনিবার) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনের তৃতীয় তলায় একটি রেস্তোরায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বন্দর নিপীড়িত জনগণের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুনের বই “শান্তি কমিটি ১৯৭১” রাজাকারের তালিকায় মাকসুদ পরিবারের ৪ জন সদস্যের নাম আছে বলে উল্লেখ্য করে রাজাকার রফিকের জীবদ্দশায় পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতার দিন ও তার পরবর্তী সময়ের খুনের ও অপকর্মের লোমহর্ষক বর্ননা তুলে ধরেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য আলাউদ্দীন আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল কাদির ডিলার সহ আওয়ামীলীগের বেশকজন নেতা। ওই সভায় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদির ডিলারও চেয়ারম্যান মাকসুদ বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।









Discussion about this post