এমন ঘটনার খবরে কাঞ্চন পৌরসভার কেরাবো এলাকার অনেকেই বলেছেন, অপহরণের ঘটনার নেপথ্যে ভিন্ন কিছু থাকতে পারে । বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসতে পারে ভিন্ন কোন চাঞ্চল্যকর তথ্য । কারণ এই আলআমিন মিয়ার বিষয়ে এলাকার অনেকেই নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আলআমিন মিয়া নামের এক যুবককে অপহরণ করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিপণ পেয়ে ২৪ ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেয় অহপরনকারীরা। অপহৃত যুবকের বাড়ি উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেরাবো এলাকায়।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের গাউছিয়া এলাকা থেকে সে অপহৃত হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে এবং ব্যবহৃত মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গত শনিবার তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় রবিবার সকালে আল-আমিন মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ৮টার সময় ভুলতা-গাউছিয়া এলাকা থেকে সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে করে ৭/৮ জনের একটি চক্র আল-আমিন মিয়াকে অপহরণ করে। গাড়িতে ডাকচিৎকারের চেষ্টা করলে গামছা দিয়ে হাত-পা, নাক-মুখে বেধেঁ দেয়। পরে রাজধানী রায়েরবাগ এলাকায় একটি ভবনের ৩য় তলার একটি রুমে তাকে আটকে রাখে। পরে রুমের ভেতরে থাকা ৩ জন মহিলা ও ৬/৭জন পুরুষ মিলে জোরপুর্বক দুজন মহিলার সাথে তার অশ্লীল ভিডিও করার চেষ্টা করে।
তাতে বাধাঁ দিলে মাথায়, গাড়ে, পিঠে ও মুখে এলোপাথারী কিল ঘুষি মেরে তাকে আহত করা হয়। একপর্যায়ে তার সাথে থাকা জমি বায়নার এক লক্ষ সাত হাজার টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। শনিবার মুঠোফোনের নম্বর লিস্ট থেকে স্ত্রী, ছোট ভাই, ভাতিজা, ভাগিনাকে কল দিয়ে তাদের বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ ও নগদ একান্টের মাধ্যমে এক লক্ষ এক হাজার টাকাসহ মুক্তিপণের মোট দুই লক্ষ আট হাজার আদায় করে এবং ব্যবহৃত মুঠোফোন ( IMEI-1:৮৬৯১৬১০৪৭৪২৫৪৭৫, IMEI-2: ৮৬৯১৬১০৪৭৪২৫৪৬৭, ব্যবহৃত সিম- ০১৭৩৫-৩৭৯৩২৬, ০১৭৬৬-১২২৭৪০) ছিনিয়ে নেয়। পরে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রায়েরবাগ চব্বিশফিট এলাকায় চোখে মুখে কাপড় বেধেঁ তাকে ফেলে রেখে যায়। রবিবার সকালে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, অপহৃতের অভিযোগটি নিয়মিত এজাহার হিসেবে রুজু করা হয়েছে। অপহরনকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।









Discussion about this post