নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবছর বাণিজ্য মেলা এখানেই অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও প্রদর্শনী কেন্দ্রটি বছরব্যাপী বিভিন্ন পণ্যভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি এক্সিবিশন সেন্টারটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মালিকানায় পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’।
এক্সিবিশন এই সেন্টারটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে এর অর্থায়ন করেছে। চীনের অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকারের ২৩১ কোটি টাকা ও ইপিবি নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে।
এক্সিবিশন সেন্টারে তৈরি করা ফ্লোরের আয়তন ৩৩ হাজার বর্গমিটার, বিল্ডিংয়ের ফ্লোরের আয়তন ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার, এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার।
এক্সিবিশন হলে ৮০০টি বুথ রয়েছে, প্রতিটি বুথের আয়তন ৯ দশমিক ৬৭ বর্গমিটার।
দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার। যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।
এছাড়াও রয়েছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি-ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম, ছয়টি মিটিং রুম, ৫০০ আসনবিশিষ্ট ক্যাফেটেরিয়া।
শিশুদের জন্য় খেলার স্পেস, নামাজের কক্ষ, অফিস রুম দুটি, মেডিকেল রুম, ডরমেটরি-গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট ইন পাবলিক এড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেটসহ রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলম দস্তগীর গাজী, গৃহায়ণ ও পূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।









Discussion about this post