নারায়ণগঞ্জর রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেদ্র করে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষর ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় গ্রুপের লোকজন বিপুল পরিমান গুলি বর্ষন ও ককটেল বিস্ফারণের ঘটনা ঘটিয়েছে। বাড়িঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ব্যাপক ভাঙচুর লুটপাটেরর ঘটনা ঘটেছে । সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের গুলিবিদ্ধসহ অনন্তত ৫০ জন আহত হযেছে বল জানা গেছে। এতে করে পুরো চনপাড়া বস্তি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে।
এসময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১ টি পিস্তল, ১০ টি দারালো চাপাতি,দাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নর চনপাড়া বস্তিতে এসব ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চনপাড়া বস্তির ইউপি সদস্য বজলুর রহমানেরর সসহযোগী জয়নাল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে যুবলীগ কর্মী শাহিনের সাথে গত রবিবার রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। বজলুর সাথে যোগ হয় সন্ত্রাসী সমসের, রাজা, শাওন ও নাজমার আলাদা আলাদা গ্রুপ। সে সংঘর্ষে ৭ পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৭২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন।
সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার রাত ৯টার দিকে উভয় গ্রুপের লোকজন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে মঙ্গলবার দিনভর থেমে থেমে চলে এই সংঘর্ষ। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মীরা বস্তিতে প্রবেশ করতে সাহস করেননি। এসময় বিপুল পরিমান ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা।
সন্ত্রাসীরা ইয়াছিন, নুর ইসলাম, ইতি, লিটন, জাব্বার, সাইফুলসহ অন্তত ৩০ জনের বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর করে লুটপাট করে। এতে পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে শরীফ নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ছুরিকাঘাতে আহত জাহিদ নামের একজনের অবস্থা আশংকাজনক। পরে বিকেল ৫টার দিকে র্যাব, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি, থানা পুলিশের সমন্বয়ে প্রায় দেড় শতাধীক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য চনপাড়া বস্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় একটি পিস্তল ও ১০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উভয় গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা চলছে। যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েন রূপগঞ্জ থানার ওসি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, চনপাড়া একটি বৃহত্তর বস্তি। এখানে ঝামেলা বা উত্তেজনা হলে নিয়ন্ত্রন করা খুব কঠিন। আমরা গত কয়েক দিন ধরেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছি। আজকে আমরা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছি। ইতি মধ্যে ৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও পিস্তলসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।









Discussion about this post