রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হারিন্দা কোটবাড়ি খালের প্রস্থ ২০ ফুট। কিন্তু এই খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে চার ফুটের একটি কালভার্ট। এতে বর্ষায় পানি প্রবাহ ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে ফসলি জমির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। একই সাথে এমন কালভার্ট নির্মাণ করায় এলাকয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও হাস্যরসের খোড়াক পেয়েছেন সাধারণ মানুষ ।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, শীতলক্ষ্যা নদী থেকে হারিন্দা দিয়ে গুতিয়াবো ও নাওড়ার বিলে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক। আবার ওই নদী পাড়ের জনসাধারণের চলাচলের জন্য পিতলগঞ্জ থেকে নদী পার হয়ে হারিন্দা দিয়ে জাঙ্গীর গুদারাঘাট পর্যন্ত রয়েছে একটি ১০ ফুট রাস্তা। কিন্তু এ খালের ওপর কোনো কালভার্ট না থাকায় বর্ষাকালে নৌকায় বা বাঁশের সাঁকোতে আর শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে পার হতে হতো।
দীর্ঘদিন ধরেই একটি কালভার্টের দাবি করে আসছিলেন এলাকাবাসী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চার ফুটের একটির কালভার্ট নির্মাণ করে ইউনিয়ন পরিষদ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর দাবি পূরণ করেছেন বটে। তবে ২০ ফুট প্রস্থের খালের ওপর মাত্র ৪ ফুট প্রস্থের কালভার্ট নির্মাণে পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী এনায়েত কবীরকে ব্যবস্থা করে এ খালের ওপর বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ লাখ টাকা। আর বিধিমতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১০ লাখ টাকার নিচে বরাদ্দের কোনো দরপত্র লাগে না। তাই স্থানীয় ঠিকাদার মশিউর রহমান তারেক ও ওবায়দুল মজিদ জুয়েল কালভার্টটি নির্মাণের কাজ পান।
অভিযোগ রয়েছে, ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ এলেও কোনোরকম করে নির্মাণ করা কালভার্টে খরচ হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকার মতো। বাকি টাকা ওই ঠিকাদাররা ভাগবাটোয়ারা করে হাতিয়ে নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ঠিকাদার ওবায়দুল মজিদ জুয়েল মাস্টার বলেন, ‘বরাদ্দ কম হওয়ায় কালভার্টটি ছোট করে করা হয়েছে। তাছাড়া খালটি কালের বিবর্তে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। তবে কোনো প্রকার ভাগবাটোয়ারা হয়নি। বরং পকেট থেকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে।’
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘খালটিতে কালভার্ট না থাকায় এলাকার মানুষের পারাপারে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। জনস্বার্থে দ্রুত কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। খুবই অল্প বরাদ্দ তাই কালভার্টটি ছোট করে করতে হয়েছে। কালভার্টটি নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়নি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী এনায়েত কবীর বলেন, ‘খালের প্রস্থ কেমন তা জানার কাজ আমার না। কালভার্ট দরকার তা করেছি। যেমন বরাদ্দ তেমন কাজ।’









Discussion about this post