রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় (সেজান জুস) অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার পর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে । আগামীকাল বুধবার থেকে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে, গত ৮ জুলাই বিকেলে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তাৎক্ষনিক ৩ জন মারা যান। পরদিন আগুন নিভিয়ে ফেলার পর ৪৮ জনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে নিরাপত্তা না থাকাসহ বিভিন্ন অবহেলার অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মরদেহগুলো পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়। কিন্তু সবগুলো মরদেহ প্রায় আগুনে পুড়ে অঙ্গার ও কয়লার মত হয়ে যাওয়াতে কারো চেহারা বুঝা যায়নি। পরে পরিবারের লোকজনদের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ডিএনএ পরীক্ষা করে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এসব মরদেহগুলো বুধবার ৪ আগষ্ট দুপুর ২টা থেকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। প্রথম দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।পরের দুই দিনে ধারাবাহিকভাবে সোহরাওয়াদী হাসপাতালের মর্গে থাকা মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এখনো ৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, মরদেহ দাফন ও সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হবে।









Discussion about this post