সন্ধ্যায় করোনা আক্রান্তকে নিজ বাসায় রাখতে এবং কোন সমস্যা যাতে না করে সেই লক্ষ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর মফিজুল ইসলাম এবং সাংবাদিক মুন্না খান বাগবাড়িস্থ নূর হোসেন ওরফে কাইল্লা নুরাকে অনুরোধ করেন যাতে ভাড়াটিয়া নাজমুলকে কিছু বা বলেন । একই সাথে দুই তিনদিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলেও জানানো হয় । এমন ঘটনার পর কাইল্লা নুরার ভাতিজা কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের সর্দার রিপন লাঠিসোটা নিয়ে করোনা আক্রান্তকে বাসা থেকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে বের করে দেয় । যা নিয়ে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
উপজেলা নাজমুল নামে এক করোনা পজিটিভ রোগীকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালা নুর হোসেন ওরফে কাইল্লা নুরা ও তা ভাতিজা ছিনতাইকারী রিপন বাহিনীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (৬ মে) রাত সাড়ে এগারটায় রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী বাগবাড়ি এলাকায় নির্মম এই ঘটনাটি ঘটে।
নাজমুল ময়মিনসিংহের বাসিন্দা আবু সিদ্দিকের ছেলে এবং রূপসী বাগবাড়ি এলাকার নূর হোসেন ওরফে কাইল্লা নূরার বাড়ি ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।।
সে এলাকার সিটি গ্রুপে চাকরি করার পাশাপাশি পড়াশোনা করে ।
ভুক্তভোগি নাজমুলের মামা সিরাজ বলেন, নাজমুলের জ্বর, সর্দি দেখা দিলে ৩ মে উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে তার নমুনা দিয়ে আসি। আজ (৬ মে) রিপোর্টে তার পজিটিভ আসে। কিন্তু তার কোনো উপসর্গ ছিল না। তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শে বাসাতেই ছিল। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বাড়ির মালিকসহ এলাকার কিছু লোকজন এসে জোর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই অবস্থায় সে মীরবাড়ি মসজিদের কাছে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এটা খুবই অমনাবিক একটি কাজ।
এদিকে এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মারধরের বিষয় ঘটেনি তবে, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, আমি একটু আগে বিষয়টি শুনেছি। সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ডাক্তার এবং পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও ওই ছেলের সাথে কথা বলেছি। এটা কেউ করতে পারে না। যে ব্যক্তি বা যারাই এই কাজটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এটা কোনো কুষ্ঠ রোগ নয়। সে আমাদের পরামর্শে বাসায় ছিল। এত রাতে একজন মানুষকে এভাবে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াটা অমানবিক। ওই ছেলে ওই বাড়িতেই থাকবে। তাকে যদি সেখান থেকে হাসপাতাল বা অন্য কোথাও নিতে হয় সেটি আমরা নেব। তাছাড়া এভাবে একজন করোনা আক্রাান্তকে বের করে দেওয়া মানে অন্যকে সংক্রমিত করা।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, ঘটনা জানার পর সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। রুগীকে ওই বাসাতেই রেখে আসা হইছে।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাঈদ আল মামুন এলাকাবাসীকে করোনা আক্রান্ত নাজমুলকে যে কোন রিকশা অথবা সিএনজি তে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেতার নির্দেশনা দেন । স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়ি নষ্ট রয়েছে বলেও এলাকার লোকজনদের জানানোর পর নূর হোসেন ওরফে কাইল্লা নুরা, ভাতিজা রিপন এবং তার বাহিনী হুমকি দিয়ে নাজমুলকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় ।
অমানবিক এমন ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে পুলিশ ও স্থানীয়রা রাত সাড়ে ১২টায় নাজমুলকে তার বাসায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।









Discussion about this post