নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার এলাকায় একটি স্বর্নের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে সকাল ৮ টার মধ্যে কার্তিক জুয়েলার্সে এমন দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটায় সংঘবদ্ধ চোরের দল ।
এমন ঘটনার পরদিন টিটন চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা একটি মামলা দায়ের করেছেন। যিনি কার্তিক জুয়েলার্সের মালিক প্রয়াত লক্ষণ বর্মনের ছোট ভাই এবং প্রয়াত কার্তিক বর্মণের ছোট পুত্র ।
মামলা সূত্রে জানান গেছে, মঙ্গলবার ব্যবসা বাণিজ্য শেষ করে রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। বুধবার সকাল ১০টায় দোকান খুলে দেখেন তালা ভেঙ্গে ৭৪ ভরি স্বর্ন ও নগদ ৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে চোরের দল।
কার্তিক জুয়েলার্সের পরিচালক (মালিক দাবিদার) টিটন চন্দ্র বর্মণ জানান, এ বিষয়ে আমরা এখন কোন কথা বলতে পারবো না । যা বলার পুলিশ বলবে।
মামলার তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক এস আই আজাহারুল ইসলাম জানান, স্বর্নের দোকানের চুরি ঘটনায় একটি মামলা পেয়েছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সূত্র ধরে মামলা তদন্ত শুরু করেছে। আশা করছি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার কররেত সক্ষম হব।

দূর্ধর্ষ এমন চুরির ঘটনায় কালীর বাজার স্বর্ণপট্টির কয়েকজন ব্যবসাযী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, অত্যান্ত দুখের বিষয় হলো গত ২৭ মার্চ শনিবার দুপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন কার্তিক জুয়েলার্সের মূল মালিক লক্ষণ বর্মণ । তারও ১০ দিন আগে ১৮ মার্চ লক্ষনের পিতা কার্তিক বর্মণও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন । পিতা ও পুত্রের এমন মৃত্যু অত্যান্ত কষ্টদায়ক ।
প্রয়াত লক্ষ্মণ চন্দ্র বর্মণ জীবদ্দশায় ছিলেন নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি স্বর্ণ দোকানের মালিক । যা নিয়ে রহস্য ছিলো পুরো স্বর্ণ পট্টিতে। কি করে রাতারাতি এতো অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছিলেন লক্ষণ বর্মন। পরবর্তীতে জানা গেলো প্রয়াত লক্ষণ বর্মণ ছিলেন স্বর্ণ ডাকাতদের সর্দার । সারাদেশে যত ডাকাতি হতো সেই স্বর্ণ ক্রয় বিক্রয়ের মূল হোতা ছিলেন কার্তিক জুয়েলার্সের মালিক প্রয়াত লক্ষণ বর্মণ ।
ফতুল্লা থানা এলাকায় দারোগা জহিরুলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কার্তিক জুয়েলার্সের মালিক প্রয়াত লক্ষণ বর্মণ ২০১৯ সালের ১০ মার্চ থেকে দীর্ঘদিন রিমান্ডের পর কারাগারেও ছিলেন । কারাগারে থাকাবস্থায় আন্তঃজেলা ডাকাতদের সাথে তার সখ্যতাও ছিলো এমন কথা চাউর রয়েছে স্বর্ণপটিতে।

অনেকেই আরো বলেন, অত্যান্ত ধূর্ত টিটন বর্মনের কাছে পুরানো ডাকাতির অনেক ঘটনা এবং পারিবারিক দ্বন্ধ থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে কিনা তা খতিতে দেখে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জরুরী ।
কালীর বাজার স্বর্ণপট্টিতে অসংখ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকার পরও প্রতি বছর এই স্বর্ণ পট্টিতে ডাকাতি, দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা অসংখ্যবার ঘটলেও কোন অপরাধীদের আজো আইনের আওতায় আনা যায় নাই । এই ঘটনার নেপথ্যে কি তা বের করার জন্যও জোড়ালো দাবী উঠেছে স্বর্ণ পট্টির সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ।









Discussion about this post